পাতা:নটনন্দিনী.pdf/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তপোবন । ২২৫ ঘোষিৎ সকাতরে বলিতেছেন “মা ! তোমার কি বনবাসের সময় ? এ বয়সে কি বনগমন তপশ্চরণ এবং ফল মূল ভক্ষণে কালক্ষণপন ও সাংসারিক সুখ স্বচ্ছন্দতায় জলাঞ্জলি প্রদান করিয়; কেহ বৈরাগ্য অবলম্বন করিতে সক্ষম হয় ? তোমার প্রতিজ্ঞাটা যে কোন ক্রমেই যুক্তিযুক্ত নছে । তদুত্তরে দুঃখিনী বলিলেন “ভগবতি ! আমার আর কোন বিষয়েই লালসা নাই, কেবল স্বধৰ্ম্ম রক্ষা করাই আমার প্রধান উদ্দেশ্য"। যোষিৎ উত্তর করিলেন “মাতঃ ! যদি বনগমনই ডোমার নিতান্ত সংকল্প হইয়া থাকে তবে একটী স্থানের কথা বলিতেছি শ্রবণ কর । বোধ করি সেই স্থলটাই তোমার মনেনীত হুইবে । অধিক দূর নহে, প্রহরেক শ্রম করিলেই তোমার মত লোকে সে স্থলে পৌছিতে পারে । সেটা একটী পৰ্ব্বত, পৰ্ব্বতটর নাম তিউর পর্বত। এই পৰ্ব্বতের অধিত্যকায় স্থানে স্থানে বিশুদ্ধ তপোবন, তথায় মহাতপা তাপসগণ অবিচ্ছিন্ন তপঃকুশলতা প্রকাশ পূর্বক নিরাপদে বিরাজ করিতেছেন। ইছার মধ্যে প্রথম আশ্রমটা অতীব মনোহর । এই আশ্রমের নিদর্শন একমাত্র হরীতকী বুক্ষ ইহার কুটারবাসিদিগের ছায়া সম্পাদন করে । চতুৰ্দ্দিকে পিয়ার, লোণ, আতা, আত্র, কঁঠাল এবং স্ত্রফল প্রভৃতি সুফলরক্ষদ্বীথিক বিস্তাসিত । বৎসে ! এবশুপ্রকার বুক্ষ সকল পৰ্ব্বতাস্তরে প্রায় দেখিতে পাওয়া যায় না । তিউরণচল নিবাসী তপস্বী গণের তপোবলে তথা হইতে হিংস্র জন্তুভয় এক কালেই তিরোহিত হইয়াছে। সেই মঙ্গলময় সামুদেশে গমন করিলে বোধ হয় জীবন্মুক্তি লাভ করিলাম। সদানন্দ যেন সেই ఫి