পাতা:নটনন্দিনী.pdf/২৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* নটনন্দিনী । স্থানেই দেদীপ্যমান। যে নির্দিষ্ট আশ্রমটার কথা উল্লেখ করিলাম তথায় একটা শোক-বিহ্বল বিবেকিনী কুলকামিনী তপস্বীবেশে অবস্থিতি করিতেছেন। সাক্ষাং ধৰ্ম্ম-প্রতিৰিন্ধ সেই মহামনাই আমার এই সমস্ত আধিপত্যের কারণ । ভগবর্তী স্বজন-সহবাস পরিত্যাগ পূর্বক এই স্থানে উপনীত হইলে আমি তাছার পরিচারিণী রূপে নিযুক্ত হইয়া কায়মনে র্তাহার সেবা করিতাম। তিনি সমুচিত যত্নের সহিত আমাকে পালন করিতে ক্রট করেন নাই। বন গমন কালে আমার জীবিকা নির্বাহীর্থ যে অর্থ প্রদান করিয়াছিলেন তদ্বারা আমি এই পণ্যশালা স্থাপন করিয়া ইহারই উপস্বত্ব হইতে দিনপাত এবং সময়ে সময়ে তাহার অনুজ্ঞা প্রতিপালন করত স্বচ্ছন্দে কাল যাপন করিতেছি । বৎসে ! তাহার বদান্যতা এবং সোঁজষ্ঠের কথা আমি একমুখে বর্ণন করিতে পারি না । তুমি এক বার তাহার নয়ন পথের পথ বর্তিনী হইলে তোমাকে যে তিনি চিরপরিচিতের ন্যায় স্নেহ করিবেন তাহার সন্দেহ নাই, অতএব তুমি সেই স্থানেই গমন কর ।” দুঃখিনী তপস্বিনীর গুণকীৰ্ত্তন শ্রবণে র্তাছার নিকট গমন করিবার নিমিত্ত সমধিক ঔৎসুক্য প্রকাশ করিতে লাগিলেন । গন্তব্য পথের নিদর্শন সকল বিলক্ষণ রূপে হৃদয়ঙ্গম করিয়া লইলেন এবং নিশাবসানে আপণাধিকারিণীর নিকট বিদায় লইয়া পৰ্ব্বতাভিমুখে যাত্রা করিলেন। বেলা এক প্রহর অতীত হইলে তিউরাচলের অধিত্যকায় উপনীত হইয়া ইতস্ততঃ নিরীক্ষণ করিতে করিতে অদূরেই তপোবন দেখিতে পাইলেন,