পাতা:নটনন্দিনী.pdf/২৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তপোবন । ** * তখন তিনি সঙ্গতিশয় ক্লান্তা, স্থলিত পদে অপে অপে আশ্রম সন্নিহিত হইয়া হিতৈষিণী পথপ্রদর্শিনীর নির্দেশামুরূপ নিদর্শন সকল সন্দর্শন করিয়া নিঃশঙ্কচিত্তে অণশ্রম বেষ্টনীর অভ্যন্তরে প্রবেশ করিলেন । তথায় একটা কুটার, কুটীরের সম্মুখভাগ কিয়দর পর্যন্ত গোময় লিপ্ত। সেই ছীতকী বৃক্ষের মূলদেশে একটা জলপূর্ণ মৃন্ময় কলস এবং তাহারই নিকটে পাত্রবিশেষে বহ্নিধ্বজ উড্ডীন হইতেছে। দুঃখিনী সেই বৃক্ষের ছায়াভলে উপবেশন করিয়া আশ্রমধিকারিণীর আগমন প্রতীক্ষা করিতেছেন এই সময়ে অপরিস্ফুট স্তুতিপাঠ করিতে করিতে সেই তপস্ববেশ তাপসী তথায় অবতীর্ণ হইলেন। তাছার বয়ঃক্রম উৰ্দ্ধসংখ্যায় চল্লিশ বৎসর, তাপসোচিত গৈরিক বসন পরিধান, সমবর্ণের অণুজামুলম্বিত অঙ্গ বরণীতে গ্রীবাভাগ পর্যন্ত অণরত । দীর্ঘকেশপাশ জটাভার রূপে শোভমান এবং কত্রিম শ্মশ্র আদিতে সমম্বিভ হইয়া মুখমণ্ডলের অসীম সৌন্দর্য্য দেখাইতেছে । তপশ্চারিণী পুৰুষভাবেই পরিণত হইয়াছেন বটে কিন্তু আভ্যন্তরিক মছিলোচিত ভাব ভঙ্গি এক কালে অন্তর্ষিত হওয়া কোন ক্রমে সম্ভব নছে। দুঃখিনী দর্শন মাত্রেই নিঃসংশিত মনা হইয়ছিলেন এবং তাছার অন্তঃকরণে একটা অনির্বচনীয় দৃঢ় ভক্তিভাব সঞ্চারিত হওয়াতে তিনি সশস্টাঙ্গে প্রণত হইলেন । তাপসী আশীৰ্ব্বচনানন্তর মধুর সম্ভাষণে স্বাগত পৃচ্ছিক হইলে দুঃখিনী মানবদনে দীনভাবে বলিঙে লাগিলেন “জননি ! আমি চিরছুঃখিনী, আমার মত হতভাগিনী এ অবনী মধ্যে কেহই নাই। মাত ! আমি পুৰুষ নছি, কেবল পশ্বাচার