পাতা:নটনন্দিনী.pdf/২৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তপোবন } ২২৯ পার, অামার সে বিষয়ে অনুমাত্র ভিন্নমত নাই। আমিও দুৰ্ব্বিসছ শোকে জর্জরিতা বরং তোমাকেই অপত্যনির্বিশেষে লালন পালন করিয়া কথঞ্চিৎ সন্তুষ্ট মনে কালযাপন করিতে পারিব । কিন্তু উভয়েই শোকসন্তপ্ত, আমাদিগের আদি বৃত্তান্ত স্মরণ হইলে অবশ্যই বিমন হইব, অতএব এই মাত্র বলিলাম যে পরম্পরে কখনই পূৰ্ব্ব কথার অনুস্থচনা করিব না।" দুঃখিনী বলিলেন “মাতঃ ! চিরকালের নিমিত্ত আমি আপনার দাসী হইলাম । আমার শারীরিক এবং আন্তরিক সুখ দুঃখ আপনার সেবা কার্য্যে নিছিত করিলাম, আপনি যেরূপ অনুমতি করিবেন সেই রূপেই জীবন যাপন করিব ।" অনস্তুর তাপসীর আদেশানুসারে দুঃখিনী ছদ্মবেশ পরিত্যাগ পূর্বক তপোবনে বাস করিলেন। কদাচিৎ অপরাহ্নে ইতস্ততঃ বিচরণ করিতে করিতে কয়েকটা মুদৃশ্য বনপুপ চয়ন করত গলদেশে, কর্ণমূলে, এবং কবরীতে পরিধান করিয়া তাপসীর সম্মুখে আগমন করিলেন। তাছাকে দেখিবমাত্র তাপসী একটা দীর্ঘ নিশ্বাস পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক অস্ফুটন্ধপে বলিলেন হা হত বিশ্বে ! অবলা জাতিকে এমন অলঙ্কার প্রিয়া করিয়াছেন যে মা আমার সর্বত্যাগিনী বনবাসিনী হইয়াও অদ্যাপি ভুষণ ইচ্ছা ত্যাগ করিতে পারেন নাই । তংপরে হাস্যমুখে দুঃখিনীর মুখের দিকে চাছিয়া কছিলেন “বটে মা ! তুমি কি ফুল ভাল বাস ? আমি কল্যই তোমাকে স্বহস্তে ভাল করিয়া সাজাইয়া দিব ?” পাঠক ! এই সেই তিউরশচল । অল্প স্নেহময়ী তাপসী এই তৰুণবয়সী রূপসীকে বনজাত পুষ্প বিশেষে রচিত সৰ্ব্বাঙ্গণ