পাতা:নটনন্দিনী.pdf/২৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩২ নটমন্দিনী । এবম্বিধ শোকবিহবল তার কি কোন নিগুঢ় কারণ আছে ? তাছা না থাকিলেই বা অভিলষিত উপলব্ধির পর এতাধিক বিকলতা প্রাপ্তির সম্ভাবনা কি ? এই শোকটী সদানন্দ ব্রহ্মচারীর কলত্র শোক। তাছার প্রিয়তম সান্ধী সহধৰ্ম্মিণী এই অদূষিত দুঃখিনীর জনয়িত্রী। দুঃখিনীর জন্মের পর স্বজন কর্তৃক তাড়িত হইয়া নিৰুদ্দেশ হইয়াছেন । প্রাণাধিক দুহিতা প্রাপ্তে ব্রহ্মচারীর অন্তরাগ্নি কথঞ্চিত নির্বাসিত হইল বটে কিন্তু দুৰ্ব্বিসহ স্ত্রীবিয়োগ শোকাগ্নি পুনৰুদ্ধিপ্ত হইল। তিনি ব্যাকুলিত ভাবে কছিলেন “বৎসে ! তোমার প্রস্থতি যিনি, তুমি ভূমিষ্ঠ হইলে আমার অনুজ রমণ"--এই কথা বলিবামাত্র সেই আশ্রমবাসিনী তপস্বীবেশী তপস্বিনী গললগ্নবাসী হইয়া উন্মাদিনীর প্রায় লতামগুপে প্রবিষ্টা ও তন্মাত্র কপিত শ্মশ্রু আদি উন্মোচন করিয়া ব্রহ্মচারীর পদবন্দন পূর্বক “স্বামিন্‌ ! আপনার দুবিনীত বনিভার কোন অন্যথা হয় নাই” বলিয়াই শশব্যস্তে দুঃখিনীকে এককালে বক্ষে ধারণ করিয়া মুহুমুহুঃ তাছার মুখচুম্বন করিতে লাগিলেন। ক্ষণকালের পর তাহার মুখ হইতে বাক্য স্ফৰ্ত্তি হইল, এবং দুই চক্ষু অশ্রুপূর্ণ হইয়া উঠিল । তখন একটা দীর্ঘনিশ্বাস পরিত্যাগ করিয়া বলিয়া উঠিলেন “উঃ ! আমি কি স্বপ্ন দেখিতেছি । পুনরায় তাছার মুখ উত্তোলন করিয়া সম্বেছে চুম্বনের পর বলিতে লাগিলেন “উঃ ! এই জন্যই কি তোমাকে দেখিয়াই আমার তাপিত প্রাণ শীতল হইয়াছিল ! ছা অনবছে ! তুমিই কি এই পিশাচিনীর গর্ভে জন্ম গ্রহণ করিয়াছিলে ? তুমিই কি আমার অঙ্করত্ন ? হায় ! আমি কি নৃশংসা ! আমি স্বহস্তে তোমাহেন অমূল্য ধন বিসর্জন দিয়াও