পাতা:নটনন্দিনী.pdf/২৪৫

> う。 মটনন্দিনী । লনবাসের কারণ বর্ণন করিতে আরম্ভ করিলেন X যথা “নুশীলে ! তোমার জনয়িতার বিপক্ষে এই বিষম বিপদৃপাত উপস্থিত হইলে আমি জীবস্মৃত প্রায় দিনপাত করিতে লাগিলাম , আত্মঘাতীর নিস্কতি নাই, কিম্বা গৰ্বিনী হইয়াছি যদি শুভক্ষণে একটা সুসম্ভান প্রসব করিতে পারি তবে শ্বশুর কুলের জল গণ্ডুষের প্রত্যাশা হইল বলিয়াই হউক কোন ক্রেমে জীবন ধারণ করিলাম । দিন দিন অপমার গর্ত লক্ষণ সকল প্রকাশ হইতে লাগিল । ক্রমে উছা দে বরের কর্ণগোচর ফইল । সেই সৰ্ব্বভক্ষী নর-রাক্ষস তৎকাল-লব্ধ সাকল্য অধিপত্যের ভালী বিঘ্ন নিরাকরণভিপ্রায়ে আমার গর্তৃস্থ সন্তানের লিল্প সাধন তৎপর হইয়া আমাকে যৎপরেশনাস্তি তাড়না করিতে লাগিল । যদিও তঁহার স্ত্রী অনঙ্গমোহিনী অামার পক্ষপণতিনী ছিলেন বটে, কিন্তু তিনি নিতান্তু শাস্তুশীলা, অগ্নিশৰ্ম্মার মনোবেগ কিছুতেই অন্যথা করিতে পারিলেন না। অগত্য আমাকে লুকাইয়া রাখিলেন । কালে তোমাকে প্রসব করিলাম । তুমি ভুমিষ্ঠ হইতেই অনঙ্গমোহিনী তোমাকে এই রাম হস্তে সমপণ করেন এবং এই কথা তঁহার স্বামী গোচরে প্রকাশ করেন । আমি একে স্বামী বিয়োগ শোকেই মরণপন্না, তাহার উপর অসহ্য অপত্য শোক প্রাপ্ত হইলাম । নরাধম এই সময়ে আমাকে মুহুমুহুঃ পীড়ন করিতে লাগিল । আত্মীয় স্বজনমণ্ডলীতে আমাকে ব্যভিচারিণী বলিয়া কলঙ্কিত করিল । আমি সৰ্ব্বত্রেই অপদস্থ হইয়া উঠিলাম। আমার শোক সস্তুপ্ত শরীরে এই দুর্নিবার অপকলঙ্ক ভার বহন করিতে ন। পারিয়া গৃহধৰ্ম্মে জলাঞ্জলি প্রদান করিলাম। পরে কতিপয়