পাতা:নটনন্দিনী.pdf/২৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তপোবন । > ○A・ দিব সামন্তর শিবগ্রামের সেই সরলা মহিলার নিকট উপস্থিত হইলাম। কিছু দিন সেই স্থানেই ছিলাম, তৎপরে এই পৰ্ব্বত বাসী তপস্বীগণের মুখে তপোবনের গুণকীৰ্ত্তন শ্রবণে এই জনহীন বন মধ্যে একাকিনীই কাল যাপন করিতেছি । মা ! তোমার মুখপদ্ম দর্শনাবধি আমার সন্তপ্ত হৃদয় প্রায় শীতল হইয়াছিল, আজি আমি আনন্দ প্রবাহ ধারণ করিতে পারিতেছি না। আজি আমার সকল সন্তাপ দূর হইল, আজ অবধি তোমাকে আর এক পলকের নিমিত্তও নয়নাস্তুরাল করিব না, দিন যামিনীই তোমাকে অঙ্গারূঢ়া করিয়া রাখিব । উপর্য্যুপরি তোমার নিৰ্ম্মল মুখচন্দ্রিমা দর্শন করিয়া চক্ষু সার্থক করিব।” এই কথা বলিতে বলিতে র্তাহার হৃদয় কম্পিত হইয়া উঠিল। লোচনস্বয় সমধিক বিস্ফারিত, তাহার রক্তিমছদে প্রতিবিম্বিত হইয়া মুক্ত। ফলের স্যায় বারিবিন্দু নাসাত্রে দোদুল্যমান, তিনি আর বাঙ নিস্পত্তি না করিয়া এক দৃষ্টে দুঃখিনীর দিকেই চাহিয়া রছিলেন । পরম্পরের এবশুপ্রকার কথোপকথনেই রাত্র প্রভাত হইল । পৰ্ব্বতোপত্যকায় কোলাহল শ্রবণ করিয়া সকলেই সচকিত । যুবাবর ইহার তত্ত্বাবধারণ করিতে রামকে আদেশ করিলেন । রাম সত্বরেই তথায় গমন করিয়া দেখিল বহুসংখ্যক পদাতি অশ্বারোহী সৈনিক পুৰুষ একত্রিত, তন্মধ্যে জনৈক পুৰুষবর হস্তিপৃষ্ঠে উপবিষ্ট, অনন্তমনে যেন কোন গাঢ় চিন্তায় নিমগ্ন । তদশনে রাম তাহারই নিকটস্থ হইয়া উহুদিগের আগমন বার্তা জিজ্ঞাসা করিলে, প্রশ্নোত্তরে জানিল যে যুবরাজ বীর শেখরের অনুসন্ধানে তাহারণ বনে বনে বিচরণ করিতেছেন । তদুত্তরে রাম কছিল লীরবর ! আমি আপনাদিগের যুবরাজকে