পাতা:নটনন্দিনী.pdf/২৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তপোবন । ☆いう。 ইছারাই দুঃখিনী নাম্নী একটা যুবতী স্ত্রীকে হত্যা করিয়া লোনপুরের কূপে নিক্ষেপ করিয়াছিল। পূর্বে ঘাতক দুঃখিনীকে চিনিতে পারে নাই, শ্যামই ইহার মৰ্ম্মোন্তেদক। এই দুঃখিনীই বিশ্বনাথের চিরপালিত । বিশ্বনাথ এবং শ্যাম উভয়েই এক্ষণে কারাবদ্ধ আছে, যুবরাজ নিবাপদে স্বরাজ্যে প্রতিগমন করিলে তাহারা অনুসন্ধায়ী দূতরূপে প্রতিপন্ন হইবে।” সেনাপতি নীরব হইলে রাম ষোড়হস্তে বলিল “যুবরাজ ! এই সেই দুঃখিনী ! আমিই সেই বিশ্বনাথের এক ভ্রাতুষ্প,এ, শ্যাম আমার সহোদর । বালক কালে অামি সুস্বরে গণন করিতে পারিতাম, এবং ভিক্ষণই আমার উপজীবিকা ছিল, আমি দেশস্থ স্ত্রীপুৰুষ সকলেরই একপ্রকার স্নেহভাজন ছিলাম, স্ত্রীগণ অসঙ্কচিত চিত্তে আমার গান শুনিয়া আমাকে প্রচুর ভিক্ষা প্রদান করিতেন, বিশেষত এই মহারাণী আমাকে যথেষ্ট ক্ষেহ করিতেন। কদাচিৎ রাত্রশেষে রাজবাটীর এক পরিচারিণীর আদেশানুসারে আমি রাজন্তঃপুর গমন করিলাম, তথায় একট। অন্ধকারাবুত গৃহমধ্যে প্রবেশ করিলে কে একটা স্ত্রীলোক সদ্যজাতা এই দুঃখিনীকে আমার হস্তে সমর্পণ করিয়া কিঞ্চিৎ অর্থপ্রদান পূর্বক মৃদুস্বরে বলিলেন, ‘যেন এই নিরপরাধী জীবের অপমৃত্যু না হয় ইহাই করিবে অথচ এই গুপ্ত ব্যাপার প্রকাশ করিবে না। প্রভো এক্ষণে বুঝিলাম যে সেই সরলাই রমণ বাবুর স্ত্রী বটেন, আমি তাহার প্রকৃত প্রতিমা এই ঘটনার পূৰ্ব্বে কখনই স্পষ্ট রূপে দেখি নাই। আমি দুঃখিনীকে ক্রোড়ে লইয়া এক নির্জন অরন্থর বনমধ্যে নিক্ষেপ করিলে পর আমার খুড়া সেই বিশ্বনাথ আপন বাটীতে লইয়া গেলেন, যথা নিয়মে পালন