পাতা:নটনন্দিনী.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So a নষ্টনন্দিন । অীমাকে এরূপ ব্যঙ্গ করিবেন না, আমি অভ্যস্ত লজ্জিত হইতেছি” বলিয়া অধোমুখী হইলেন । তদুত্তরে রমণবাবু “বৃথা বাক্বিতণ্ডীয় কালক্ষেপণ করা আমারও ইচ্ছা নাই, অনুমতি হইলেই অসুলভ স্পর্শ মুখ অনুভব করিয়া চরিতার্থ হই” এই বলিয়া কিঞ্চিৎ অগ্রসরে দুঃখিনীর নিকটস্থ এবং স্মরদশা জনিত ব্যগ্রতাশিয় সহকারে তাহার গাত্র ম্পর্শ করিতে উদ্যত হইলেন । তখন দুঃখিনী তঁtহার স্পশায়ত্ত হইতে বহিভূত হইয়া করযোড়ে কহিলেন “মহাশয় ! ক্ষণম্ভ হউন, এবং আমাকে ক্ষম কৰুন, আপনি সৰ্ব্বাংশে শ্রেষ্ঠ, আমি আপনার পক্ষে অতিনীচ আমার প্রতি অনুরাগী হইয়া আপনাকে বিফল কলঙ্কিত করিতেছেন কেন ? আমিও প্রণণস্তুে স্বধৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিব না । দেখুন যেমন পাত্রবিশেষে জলের অণস্বর্ণদন ভিন্ন ভিন্ন হয় না, সেইরূপ আপনি যে লজ্জা ও ঘৃণাকর প্রবৃত্তিতে প্রবৃত্ত হইতেছেন, স্ত্রীবিশেষে ইহার কিছুমাত্র ভারতম্য নাই, তবে অজ্ঞানী লোকের মনের ভ্রমে পাপ সঞ্চয় করে, বিশেষত আপনি আমার প্রাণ ও জাতি কুলের রক্ষা কৰ্ত্ত হইয়া স্বয়ং তাঁহা নষ্ট করিতে চেষ্টা করিতেছেন, ইহাতে আপনাকে অবশ্যই পাপী হইতে হুইবে” রমণবাবু “আমি তোমার নিকট জ্ঞান শিক্ষা করিতে অগসি নাই” বলিয়া সহসা দুঃখিনীর হস্ত ধারণ করিলেন, দুঃখিনী অপর হস্ত যোগে, ধৃতহস্ত তৎক্ষণাৎ মোচন করিয়া লইয়া উৰ্দ্ধশ্বাসে ও দ্রুতবেগে তথা হইতে গমন করিয়া অনঙ্গমোহিনী যে স্থানে আছেন, সেই গৃহ মধ্যে প্রবিষ্টা হইলেন, রমণবাবু বিষগ্নমুখে স্থানান্তুরে গমন করিলেন, কিন্তু এবপ্র