পাতা:নটনন্দিনী.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> * নটনন্দিনী । নিপতিত হইলেন ও হুতস্মি জ্ঞানে সকৰুণে কৰুণাময়কে স্মরণ ও রোদন করিতে লাগিলেন, যথা ‘ছে দয়াময় ! এই জনশূন্য প্রদেশে আমি আশু মৃত্যুর অধীন হইলাম, নাথ ! আমি কি এত পাপিনী যে, আমার পক্ষে এই ভয়ানক মৃত্যু আপনি রচনা করিয়াছেন ? হে ভগবান ! অীমাকে রক্ষা কর কিম্বা অচিরাৎ আমার শঙ্গা ছরণ করিয়া নির্ভয় করিয়া দেহ । হে নাথ ! আমি জ্ঞান কত কোন অপরাধে অপরাধী নহি, এ পৃথিবীতে কি জন্য প্রেরণ করিয়া এবশুপ্রকার নানাবিধ কষ্ট দিয়া অামার প্রাণ নাশ করিতেছ । নাথ ! কেবা অামার পিতা, কেবা আমার মাতা, আমি তাছা কিছুই জানিতে পারিলাম না, র্তাহীরা জীবিত অাছেন কি না, তাছাও জ্ঞাত নহি, আমার বন্ধুবান্ধব সকলি তুমি । নাথ ! তোমার অজ্ঞাত কিছুই নাই ; তুমি সকলের অন্তরের অন্তর ও সর্বব্যাপী হইয়াও কি আমার কষ্ট এবং দুঃখ দেখিতে পাইতেছ না ? নাথ ! যদি আমার জন্মান্তরের কোন পাপ থাকে, তাহ নিজগুণে মার্জনা করিয়া আমাকে এ সমূহ বিপদ হইতে পরিত্রণ কর ? নাথ ; আমি শুনিয়াছি যে, অতি কাতরে যে ব্যক্তি তোমাকে স্মরণ করে, তুমি তাহাকে মহা মহা বিপদ হইতে রক্ষা কর । শুনিয়াছি যে পঞ্চ পীণ্ডবের প্রতি সদয় হইয়া তাহাদিগকে নানা বিপদ হইতে যথা হলাহল পান, ক্রোধী দুর্বাস মুনির ছলনা ও রাক্ষসী হস্তে পতিত ইত্যাদি বিপদ হইতে রক্ষা করিয়াছ নে দৈত্য পুত্র প্রছলাদকে অস্ত্রাঘাত বিষপান ও তপ্ত ভৈল ইত্যাদি বধ হইতে উদ্ধার, ও তস্য পিতা হিরণ্যকশিপুকে বধ করিয়া দেবতা দিগকে নিরাপদ করিয়াছ ও সুনীতিনন্দন ধ্রুবের প্রতি সদয়