পাতা:নটনন্দিনী.pdf/৪৪

তাত্মহত্য রক্ষ । ○(r কুলকামিনী, অনন্তর সেই মহিলাকে অদবস্থ দশনে বৃত্তাস্তাবগতি জন্য সীতিশয় কৌতুক হইল, তৎকালে র্তাহার বাঙ - নিম্পত্তি হুইবার সম্ভাবনা ছিল না, অগত্যা ক্ষণকাল অপেক্ষা ও তৎকালোচিত শুশ্ৰযা করিতে করতে ললন ঈষৎ ফুল্লনয়ন ও রামকে সম্মুখবন্তী দেখিয়া লজ্জাবনত হইলেন । তখন রাম উহার আদ্যোপাত্ত জিজ্ঞাসু হইলে তাহার প্রশ্নের কিছুই উত্তর করিলেন না, কেবল এইমাত্ৰ কহিলেন যে “হা হতবিধে ! এ অভাগিনীর আয়ু কি এত অখণ্ড নিয়মে বদ্ধ করিয়াছেন যে, এতাধিক ব্যাপক কাল জলমপ্লে ও প্রাণান্ত হইল না ।" পরে রামকে উদ্দেশ করিয়া কহিলেন “হে গে ! তুমি কি নিমিত্ত আমার প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করিলে এবং পুনরায় অামাকে সমূহ যন্ত্রণ ভোগ করাইবার নিমিত্তে জীবন হইতে উদ্ধার করিয়া আমার জীবন রক্ষা করিলে,” ত শ্রবণে রাম উত্তর করিল, “আমি তোমাকে আমার ভগিনী দুঃখিনী বিবেচনা করিয়৷ জল হইতে তুলিয়াছি, তুমি কে ? এবং জীবননাশে প্রবৃত্ত হইয়াছ কেন ? তাহা অামাকে বলিয়া আমার সন্দেহ দূর কর। এবং আীমা হইতে সে বিষয়ের যদি কোন উপায় হইবার স স্তু|বনা থাকে, তবে আমাকে অীদেশ কর আমি তাছা করিবার চেষ্টা করিব ।” - রামের মুখে দুঃখিনী নাম শুনিবৰ্ণমাত্রেই ব্যস্ত হইয়। তিনি ' “অপমার ক্লেশ নিবারণের উপায় বিধাতা না করিলে কেহই করিতে পরিবে না, অতএব তোমাকে পরিচয় দিয়াই বা কি হুইবেক, এক্ষণে আমি আমার গৃহে চলিলাম !" এই বলিয়া অপেন কণ্ঠস্থিত হার রামকে উপহার প্রদান করিয়া সত্বরে আপনাগারে