পাতা:নটনন্দিনী.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভেড়েীকল । 8 & কোথায় ? তোমাকে যখন ভেঁড়ে কলে প্রবেশ করাইয়াছি, তখন তোমার আর অব্যাহতি নাই ।” নাপিত যে দৰ্পণ খানি ভূতকে দেখাইল, সে খানি চারি খণ্ডে ভগ্ন ছিল, দর্পণে স্বভ1বতঃ খণ্ড বিশেষে প্রতিমূৰ্ত্তি পৃথক পৃথক প্রতিফলিত হয়, ভূত সেই দৰ্পণ মধ্যে প্রত্যেক খণ্ডে এক একটি স্বীয় অবয়বের সাদৃশ চতুষ্টয় দর্শনে উীত ও প্রাণভয়ে ব্যাকুলিত, সেই ধূৰ্ত্ত নাপিতের পদাবলুষ্ঠিত হইয়া বিনীত বচনে অব্যাহতি প্রার্থনা করিল। নাপিত ভুতকে বলিল, “তুমি যদি প্রতি রাত্রে এক এক গোলা ধান্য আমাকে অনিয়া দেওয়া স্বীকার কর, তবে আমি এখনও তোমার প্রাণ রক্ষণর চেষ্টা করিতে পারি।" ভূত “যে অজ্ঞা, আমি ইহাই স্বীকার করিলাম।” এই বলিয়া নাপিতকে বহুল তুতিবাদ করিয়া অম্ভহিত হইল ও প্রতিজ্ঞানুসারে প্রত্যেক রাত্ৰিযোগে নাপিতের বাটতে ধান্য প্রদান করিতে বিমুখ হইত না । একদা প্রতিজ্ঞামত ধান্য সংগ্ৰহ করিতে অক্ষম হইয়া এক নিভৃত স্থানে করতলে গণ্ড স্থাপন করিয়া দুস্তর চিন্তায় নিমগ্ন আছে, এমত সময়ে আর একটা ভূত তথtয় আসিয়া তাছার চিত্ত-বৈকল্যের কারণ জিজ্ঞাসু হইলে আপন অবস্থার আদ্যোপাস্তু তাছাকে বিজ্ঞাপন করিয়া উচ্চৈঃস্বরে রেদিন করত কহিল, “ভাই রে ! আমি এইবার বুঝি মলাম ।” তদনন্তর দ্বিতীয় ভূত কহিল, “কি আশ্চৰ্য্য ! নর আমাদিগের বধ্য জাতি, তাহার চাতুর্যে আবদ্ধ হইয়া তুমি এত কষ্ট ভোগ করিতেছ ? তুমি ক্ষম্ভ হও, আমি এখনই তোমাকে নিষ্কণ্টক করিব, আমাকে তাহীর আবাসের পথ দেখাইয়।