পাতা:নটনন্দিনী.pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8と。 নটনন্দিনী । দেও ?” তৎপরে নাপিতের বাটির নিকট অসিয়া গৃহ প্রবেশের চেষ্টা করিতে লাগিল । এখানে তৎপূর্ব রজনীতে একটা বিড়ালে নাপিতের পাকশীলা হইতে মৎস্যাদি খাইয়। যাওয়ায় নাপিত অপেন বাটীর সমুদায় প্রবেশপথ ৰুদ্ধ করিয়া কেবল একটী সামান্য ছিদ্র মাত্র ও তা হাতে এক অমোঘ ফাদ পতিয়া রাখিয়া সতকত পূর্বক সেই বিড়ালকে ধরিবার অপেক্ষা করিতেছিল, এমত সময় “বাবারে । অণমার ঘাট হয়ে চে, আমি অপর র্তোমীর মন্দ টেষ্টা করিব না, অর্ণমার প্রাণ দান কঁর ।” এই শব্দ শুনিবামাত্র নাপিত ভন্নিকটস্থ হইয়া দেখিল যে, একটা বৃহদাকার বিড়াল সেই ফাঁদে আবদ্ধ হইয়া তাদৃশ স্বরে অনুনয় করিতেছে, তখন কৌতুহলী হইয়া কারণ জিজ্ঞাসা করিতে ভূত তাহার সমুদয় বৃত্তান্ত অবগত করণস্তে ক্ষম প্রার্থনা করতে নাপিত পূৰ্ব্বমত প্রত্যহ কিয়ৎ পরিমাণে রজত-মুদ্রা ভাহীকে প্রদান করা স্বীকার করাইয়া লইয়া অব্যাহতি প্রদান করিল, অতএব,— “উপায়ে ন হি যচ্ছক্যং নতচ্ছক্যং পরাক্রমৈঃ ।” উপায়ের দ্বারা যাহা হইতে পারে, পরাক্রমে তাহা হয় না । ভাই কৃষ্ণ ! তুমি একবার দেখাইয়া দেও, পরে দেখিতে পাবে, বলে, ছলে কলে কৌশলে, যাতে হউক একটা স্ত্রীলোককে হস্তগত করা কি কঠিন কথা ভাই ।” কৃষ্ণ আর কোন কথার বাদানুবাদ না করিয়া পুলিন বাবুর নিয়োজিত লোক সমভিব্যাহারে চলিয়া গল ।