পাতা:নটনন্দিনী.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

奴必 নটনন্দিনী । নাথ যে দুৰ্ব্বলের বল তা কি তুমি জান না ? পরমেশ্বর যে কৰ্ম্মানুযায়ী ফল প্রদান করেন তাছা কি একবার মনে উদয় হয় না ? যাঁহাই হউক এখনও আমি আপনাকে বিনয় করিয়া বলিতেছি যে আমাকে অতি সামান্য ও দুঃশীলা জ্ঞানে পরি. ভ্যাগ কৰুন যে কুটার হইতে আমাকে আনয়ন করিয়াছেন সেই কুটীরের পথ দেখাইয়া দিয়া আমাকে চরিভার্থ করুন ? নচেৎ পুনৰ্ব্বার আমার নিকট আসিয়া স্পর্শ করিতে চেষ্টা করিলে আমি নখ ও দস্তাঘাতে ক্ষত বিক্ষত করিব এবং ভূমিতে মস্তকঘাত করিয়া প্রাণত্যাগ করিব।” এই বলিয়া কপালে উপযুপরি দৃঢ়তর করাঘাত করত উচ্চৈস্বরে রোদন করিতে আরম্ভ করিলেন । পুলিনবাৰু দুঃখিনীর রোদন ও আৰ্ত্তনাদ দিতে প্রচলিত হইয়া সেই গৃহস্বামিনী ধনমনী বৈষ্ণবীকে বলিলেন “দেখ ধনমনি! এবেটী বড় ঠ্যাট অপে ইনি রাজি হইবেন না কালের গতিক, স্থত সরল অঙ্গুলিতে কখনই বাহির হয় না বেটা পেটের জ্বালায় মরেন কিন্তু গুমোর ছাড়েন না আমার ইচ্ছা ছিল যে বেটীকে ভাল করে রাখি তা এটো কুড়ের পাত , কি সহজে স্বর্গে যায়, বেটীর কুবুদ্ধি, অদৃক্টের ভোগ যতক্ষণ আছে কে খণ্ডবে, যাহাই হউক, ফলে বেটী কম্ভ নষ্টামি শিখেছে আমিও দেখি এক্ষণে তোমার কাছে থাকিল তুমি দিনস্তুে কেবল প্রাণধারণের মত কিঞ্চিৎ আহার দিবে আর একটা অন্ধকার ঘরে আবদ্ধ করিয়া রাখিবে, কিন্তু দেখো যেন বেটী কোন প্রকারে না পালায় ওর নষ্টামির প্রতিকার শীঘ্রই করিব” তুমিও সৰ্ব্বদা আমাকে সংৰাদ দিবে, যদি সম্মত হয়