পাতা:নটনন্দিনী.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

•s मछेननिर्मी । কছিল “দুঃখিনি ! সে নিৰ্ব্বাণ আগুন জ্বালিবার অবশ্যক নাই, আমরা যে কি ছিলাম তাহা মুখে বলা দূরে থাকুক একবার মনে করিলে প্রাণ আকুল হইয়া উঠে, অতএব সে সকল কথা মনে করিয়া কষ্ট পাওয়া ও তোমাকে শুনাইয়া কষ্ট দেওয়ায় ফল কি ?’ দুঃখিনী বলিলেন “যদি ইচ্ছা না হয়, আমি কি বলিব ? কিন্তু আমি তোমাদিগকে আমার পরমাত্মীয়া জ্ঞান করিয়া জিজ্ঞাসা করিতে সাহসী হইয়াছি, এক্ষণে তোমাদিগের যাহা উচিত হয় কর, তবে তোমাদিগের মুখে সেই সকল কথা শুনিতে অতিশয় অভিলাষ হইয়াছে, বশিলে এক প্রকার জ্ঞান শিক্ষা হয়, যদি না বল চারা নাই।" স্ত্রীজাতি স্বভাবত মায়াবী এবং অনুনয় পক্ষপাতিনী, দুঃখিনীর বিনীত বাক্যে কমলা পূর্বাবস্থা স্মরণ-জনিত-শোকাবেগ সম্বরণ করিয়া আত্মপরিচয় প্রদান করিতে আরম্ভ করিল, যথা – ভাগীরথীর পশ্চিম অনতিদূরে এক খানি ক্ষুদ্র গ্রামে ভৰশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্রাহ্মণ বাস করিতেন, তিনি সেই 'পল্লীমধ্যে অতি সম্ভান্ত ও সঙ্গতিপন্ন ছিলেন, কিন্তু নিরপত্যতা উছার একমাত্র মনঃপীড়ার হেতু ছিল, তাহা নিবারণাথে বেদবৈধ শান্তুি স্বস্ত্যয়নাদি করিতেও ক্রটি করেন নাই, পরে বয়সের শেষভাগে একটী কন্যা-সন্তান হওয়াতে ব্ৰাহ্মণ ব্রাহ্মণী, প্রতিবাসী প্রতিবেসিনীগণের সছিত যৎপরোনাস্তি আনন্দিত হইলেন, এবং দীনদরিদ্রগণকে কম্ভাটীর মঙ্গলার্থে কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ অর্থ ও বিতরণ করিলেন, ক্রমে অন্নপ্রাশন তৎপরে চূড়াকরণাদি সমাপনন্তে শিশুকালেই কন্যাটকে অনুরূপ পাত্রে সম্প্রদান করিয়া ভবশঙ্কর অন্তকের করালগ্রাসে কবলিত হইলেন ; তাহার