পাতা:নটনন্দিনী.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नरीन' नननििरी । ৩৭ স্ত্রী সেই ক্যাট অবলম্বনে এবং ভবশঙ্করের ভ্রাতুঙ্গত্র রঘুনাথ চট্টোপাধ্যায়কে সমুদায় সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের ভারাপণ পূৰ্ব্বক কথঞ্চিৎ কালাতিপাত করিতেছিলেন । কস্যাট প্রাপ্তবয়স্ক না হইতেই জামাতা অকাল মৃত্যুর অধীন হইলেন, তখন স্বামী বিয়োগ-শোক বিস্তৃত হইয়া দুহিতার অপরিজ্ঞাত বৈধব্য ঘটনার ভাবী যন্ত্রণামুভবে অপরিসীম ক্লেশ ভোগ করিতে লাগিলেন। সেই বাল-বিধবা কন্যা এই কমলা, এ অভাগিনী পিতা মাতা আত্মীয় স্বজন সম্বন্ধে যে কত সমাদরের পাত্রী ছিল তাহা সকলেই বিবেচনা কর , ভাগ্যদোষে বিধবা হইয়াছিলাম বটে, কিন্তু এ দুর্ভাগিনী কোন দোষে দোষী ছিল না, সকলেরই বশ্বা ছিল, কাহাকেও কটুক্তি করিতে জানিত না। কাল সহকারে যৌবনলত কুমুমিত হইলে তৎকালোচিত চঞ্চলত প্রাপ্ত হওয়ার পরিবর্তে আপন দুর্ভাগ্য জন্য সকলেরই নিকটে আমি মলিনতা ও নজতাতিশয় প্রকাশ করিতাম। আমার পিতৃভবনের পূর্বাংশেই সেই গ্রামবাসী জনাৰ্দ্দন লাহিড়ীর এক খানি বাগিচা, তন্মপে: ঐ লাহিড়ীর পালিত কুস্তিনামে এক অবিস্তা বাস করিত, কখন কখন জনাৰ্দ্দন লাহিড়ীর কনিষ্ঠ ভ্রাতা বিকৰ্ত্তন লাহিড়ী তথায় এক এক বার অসিতেন, এবং সেই উপলক্ষে আমাদিগের খিড় কীর পুষ্করিণীতে সর্বদ। তাছার মাছ ধরিতে আসা ছিল । রঘুনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বনিতা মনোমোহিনী বিকৰ্ত্তন লাহিড়ীর সৰ্ব্বদা গমনাগমন দেখিয়া রহস্য ছলনায় আমার প্রতি নানা প্রকার দোষারোপ করিত ; পরে যখন দেখিল যে আমার মনে কোন দূষ্য ভাবের উদয় নাই, তখন আমাকে কলঙ্কিনী করিবার মানসে কপট মমতার সহিত কুপথে যাইবার উপদেশ প্রদান