পাতা:নটনন্দিনী.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&უხ• নটনন্দিনী । করিতে আরম্ভ করিল । এক দিবস আমার মাত পিত্রালয়ে গমন করিয়াছিলেন, মনোমোহিনী অাপন শয়নাগারে আমার সহিত অপরাপর আলাপন প্রসঙ্গে বলিল “ভাই ঠাকুরবি, তোমার এই নবীন ধোবন, এসময় তুমি সৰ্ব্বদা মুখখানি মলিন করিয়া থাক আমি তাতে বড় ক্লেশ পাই, এখন কি উপায় করি বল দেখি ?? আমি বলিলাম “উপায় আমার মরণ ভিন্ন আর কিই বা অগছে” । । মনোমোহিনী ,--“বালাই! মরণ কেন হতে যাবে লা ? ছেলে মুখে বুড় কথা ? আমার কাছে কি তোর এইকথা বলা উচিত ?” আমি বলিলাম “ত বই আর কি বলি ? আর আমাকে তুমি বা একথা বলিবে কেন ?? আমার তখন জ্ঞান ছিল না বটে, কিন্তু চক্ষে দেখি নাই এমন নয়, কপালের ভোগ কে খণ্ডাইতে পারে ? নতুবা পিতা মাতা যে স্বামীর হাতে দিয়াছিলেন, তাছারি বা এ দশা—এই বলিয়া মুখে বস্ত্র আচ্ছাদন করিয়া রোদন করিতে লাগিলাম। মনোমোহিনী আস্তে আস্তে আমাকে সান্তুনা করিয়া বলিল “সে কি ভাই, তুমি কি কথায় কি কথা আনিয়া কান্না আনিলে, আমি তোমাকে কি বলি তা শুন, বুঝ, ভাল মন্দ বিবেচনা কর, পরে হাসি কান্না ত চিরকালই আছে, আমার পেটের কথা পেটেই থাকিল, গুমুরে গুমুরে মরি, তুমিও এমনি ফুলে ফুলে কাদ, তবেই সকলি হবে" । আমি বলিলাম “আর হবেই বা কি, যতদিন কপালের দুঃখ আছে, ভোগ করি পরে মা গঙ্গা মুখ তুলে চাহিলেই দুঃখ ঘুচিয়া যাইবে। মনোমোহিণী—“নে ভাই ! তোর আর বুড়পনা ভাল লাগে না ? বয়সে ত গাছ পাতর নাই, এখন মা গঙ্গার মুখ তুলে চাওয়া