পাতা:নটনন্দিনী.pdf/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭২ নটনন্দিনী । একটু পরে আমাকে এখানে দেখিতে পাবে, এই কথা কছিয়া সেই খানেই দণভূইয়া রহিল, তখন আমি ক্ষণকাল এই কঠিন কৰ্ম্মের অগ্র পশ্চাৎ ভাবিতে ভাবিতে কুম্ভির সন্মুখে গমন করিলাম, কুস্তি রাত্রিকালে সেই জনহীন স্থানে আমাকে একাকিনী দেখিবা মাত্র চমকিত হইয়া কছিল “ও মা কমলা যে? কেন মা ! তুমি এখানে কেন গণ ? কথা কওনা কেন গী, রাগ করেছ? চল মা চল আমি সঙ্গে যাই, বাড়ি চল, বাপরে ? যে ঘরের মেয়ে তুমি বাছা এখানে যদি কেহ দেখতে পায় তবে এখনি আমার পর্যন্ত মাথাটা নিয়ে ভাটা খ্যালাবে, কুস্তির কথায় আমার অতিশয় সন্দেহ জন্মিল “ তাইত এ কেমন কথা ? বোঁ কি আমার সঙ্গে কৌতুক করিল, তাহা ভিন্ন যে কুস্তি আমাকে ছোট লাহিড়ীর সহিত মিলন করিয়া দিবে, সে কুন্তির মুখেই বা এমন কথা শুনিলাম কেন ? আবার তামাসাই বা কিসে ভাবি ? এই রাত্রে এমন স্থানে আমাকে আমার কারণ কি ছিল ? কিন্তু যখন এ পর্য্যন্ত এলাম, তখন বিশেষ জানা উচিত ” ইহা মনে করিয়া বলিলাম “ছোটলাহিড়ী মহাশয় কোথায়” । কুস্তি উত্তর করিল “ কেন মা তিনি কখন কখন তোমাদের খিড়কীর পুষ্করিণীতে মাছ ধরা ছলে যাওয়া আসা করিতেন বটে, তোমার সঙ্গে কি কোন কথা ছিল ? না এমন কথা ত নয় । যদিও তাহার স্বভাব সকল মতে ভাল নয় বটে, কিন্তু এমন কুল মজন কাযে যে তিনি হঠাৎ মন দিবেন একথায় আমার সন্দেহ ছয় । ভাল কমলা তোমাকে কি তিনি নিজে কিছু বলেছেন ?” আমি বলিলাম “তিনি আমাকে কোন কথাই বলেন নাই, আমার সঙ্গে তার দেখাও হয় নাই, যা কিছু বলিবার আমাদের