পাতা:নটনন্দিনী.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

18 मछेनग्झिनैौ । প্রবোধ দিবার নিমিত আমার কাছে বসিল, কিন্তু ক্ষণকাল কোন কথাই বলিতে পারিল না, কেবল দুজনেই দুজনের মুখপানে চাহিয়া চক্ষের জলে ভাসিতে লাগিলাম, ক্ষণেক পরে কুস্তি “ আমাদের এখানে বসা উচিত নয়, কেউ দেখতে পেলে দুজনেরই প্রাণ বাবে, আর কেঁদে বা কি করতে পারবো মা ? তোমার কপালের ভোগ ; এখন আজ রাত্রের মত আমার ঘরে গিয়ে থাকুবে চল, রাত পোছালে ছোটকৰ্ত্তাকে বলে যাতে তোমার একটা উপায় ছয় কোরবো । যখন এত গোল হয়েছে তখন বাড়ী যাওয়াত আর উচিত হয় না, বলিয়া আমাকে ক্রোড়ে লইয়া আপন বাটীতে উপস্থিত ছইল। তথায় দুখানি ঘর, এক খানি রমুই ঘর, চতুর্দিকে উচ্চ প্রাচীর, স্থানটাও নিজন বটে, আমি তাছারি একটা ঘরে শয়ন করিয়া এই দুর্ঘটনার আগাগোড়া ভাবি, আর চক্ষের জলে ভাসি, নিদ্রার রূপও দেখিতে পাইলাম না, জল পিপাসায় ছাতি ফাটে তথাপি লজ্জায় মুখ ফুটে চাহিতে পারি না, এইরূপে রাত্রি প্রভাত হইলে, কুস্তি বিকৰ্ত্তন লাহিড়ীকে আমার বৃত্তাস্তু সমস্ত বলতে তিনি প্রথমত আশ্চৰ্য্য বোধ করেন, পরে কুম্ভির অনুরোধে এবং আমার আর কোন উপায় নাই ভাবিয়াই হউক কিম্বা অনুরাগ জম্ভই হউক আমি যে ঘরে ছিলাম সেই ঘরে প্রবেশ করিলেন। আমি তখন কেবল তাছাকে গৃহে প্রবেশ করিতে দেখিয়াছিলাম মাত্র, অামার কাছে বসিয়া কত কথা বলিলেন, সে সমুদায়ের উত্তর করা দূরে থাকুক তাছাকে দ্বার খুলিতে দেখিয়াই যে সৰ্ব্বাঙ্গে বস্ত্র আচ্ছাদন করিয়া অধোমুখে বসিয়াছিলাম, তিনি যতক্ষণ ঘরে ছিলেন, ততক্ষণ আমার নিশ্বাস