পাতা:নটনন্দিনী.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৃহত্যাগ । १५ পড়িয়াছিল কি না সন্দেছ । তখন ত এই রূপেই কাটুক, সন্ধ্যার পর বিকৰ্ত্তম পুনরায় আসিয়া কুস্তির সঙ্গে কি পরামর্শ করিলেন, আমি তাছা শুনি নাই, কুস্তি আঞ্জর নিকটে আসিয়া বলিল মা কমলে ! তোমার আর এখানে থাকাত ভাল ছয় না, কি জানি যদি কোন দুষ্ট লোকের মুখে, তুমি এখানে আছ একথা প্রকাশ পায়, তবে তো বিপদের সীমা থাকৃবে না, অত" এব মা, তোমাকে ছোটকৰ্ত্ত কোথায় নিয়ে যেতে চান, আমি বলি তাই এসোগে, আর আমি ছোটকৰ্ত্তাকে অনেক বলে কয়ে দিলেম, তোমার কোন দুঃখ হবে না, কুস্তির কথা শুনিয়া “ম। গো ! এই তোমার কমলা জন্মের মত বিদায় হলো !" বলিয়া চিৎকার শব্দে কাদিয়া উঠিলাম, কুস্তি তৎক্ষণাৎ আমার মুখে হাত চাপা দিয়ে বলিতে লাগিল “ উঃ ও পাগল মেয়ে ? সে কি গে ? সৰ্ব্বনাশ করোন, তোমার রা পেলে কি রক্ষণ আছে ? এখনই ষে ঢাকি শুদ্ধ বিসর্জন হবে, ও বাবা ? চুপ কর বাছা । একি কাদবার ঠাই, আর কান্না কাটন করে, কিই বা হবে ? এখন যাতে প্রাণটা বঁাচে তা কর। আরও বলি, ছোটকর্তা যেখানে তোমাকে নিয়ে যাবেন সে ৰেস জায়গা, আমিও সেখানে সৰ্ব্বদা যাবে, তোমাকে দেখবো, শুনৃবো, তোমার মার খবর টবর দেব, এভিন্ন আর ত কোন উপায় এখন দেখিনে, তবে যে সংসার ছাড়া দুঃখ তা তোমারি বা কে আর আছে, এক বুড়ে মা তার ত ভাই ভাইপোরা সব আছে, তাকে যত্ন করবে, তুমিত যাহউক এক প্রকার মুখে থাকবে, কেঁদনা মা, কি করবে বলে, তোমার কপালে এইটে আছে ভাই এমন ছলে । অছা! বাছারে ! বাছার মুখ দেখলে বুক ফেটে যায়, ত পোড়া