পাতা:নটনন্দিনী.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন্বেষণে যাত্র । অংশে ক্লেশ দিব না।" বলিতে কি তাহার কাছে আমি অতুল সুখেই ছিলাম, এই বলিয়া কমলা ক্ষান্ত হইল, রাত্রি প্রায় এক প্রহর বিমলা “আজি এই পর্যন্তু ক্ষণস্তুই থাকুক—আবার খাওয়া শোয়া আছে ত চল আজ সব ঘরে যাই।” কমলা বলিল দুঃখিনি আজ তবে আসি ? মা, আবার কাল এসে বলিব শুন । তৎপরে সকলেই প্রস্থান করিল। ত্রয়োবিংশতি অধ্যায়। অন্বেষণে যাত্রা এ দিকে রমণ বাবুর সেই সুরম্য পুষ্পোপ্তানের তাদৃশ অবস্থা হওয়া অবধি রামকে সৰ্ব্বদাই মনে মনে তাচ্ছিল্য করিতেন, কখন কোন আদেশ করিতেন না, কিন্তু কৃতোপকার সম্বন্ধে অসৌজন্য প্রকাশশঙ্কায় স্পষ্ট কিছুই বলিতে পারিতেন না। কদাচিৎ নিদাব অপরাহ্নে রমণ বাবু জাহ্নবী পুলিনের নৈসর্গিক সুচাৰু শোভা অবেক্ষণে ইতস্ততঃ ভ্রমণ করিতেছিলেন, ক্রমে দিনমণি পশ্চিমাচলের নিভৃত পন্থায় গমন করিয়া চরাচরে অদৃশ্ব হুইলেন, রক্তিম মেঘমালা এই অবসরে নভোমণ্ডলে উদিত হইল, সমীর তাড়িত উৰ্ম্মি রাজিতে সেই গগন ধ্বজের আরক্ত প্রতা প্রতিফলিত হইলে উীষ্ম জননী অসীম সৌন্দৰ্য্যশালিনী হইলেন। সন্ধ্যাসমীরণও বসুমতীকে আলিঙ্গন করনাশয়ে বন্যপুষ্পের