পাতা:নটনন্দিনী.pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নটনন্দিনী । সুগন্ধি ভূষণ সমবেত সুমন্দ গতি ধারণ করিতে আর বিলম্ব করিল না। এই সময়ে রমণ বাবু মনে মনে ভাবিলেন রাম ত এত কাল আমার কাছে অাছে, আর অনেকশনেক লোকেরও স্বভাব চরিত্র দেখিতেছে, এখনও কি তাছার পূর্বমত বুদ্ধি বৃত্তির কিছুমাত্র পরিবর্তন হয় নাই । রাম তৎকালে, তাছার সমভিব্যাছারেই ছিল, তাহাকে বলিলেন “দেখ রাম এই নদীটীর স্রোত এই খাল বহিয়া নিয়তই দক্ষিণ দিকে চলিতেছে, এমত কেহ আমার সুহৃদ থাকে যে এই জলের বেগ ফিরাইয়া উত্তরবাহিনী করিয়া দিতে পারে, আমি তাহা দেখিলে বড় আহলग्निऊ इहे ।” রাম এই কথা শুনিয়া আহলাদে আট খানা, হাসিতে হাসিতে বলিল “ইঃ ! কি শক্ত কথাটাই বল্লেন ? একটু আগে বলিলেই কোন্‌ কালে দেখতে পেতেন যে, এ আর কি এমন হাতি ঘোড়া, এক খান সরা পেতে যে জেরি বইত ময়। মহাশয় দাড়িয়ে দেখুন বার কত উলটাে ছিচ ধল্লেই গড় গড় করে জল আপনিই ফিরে দাড়ায়; এর জন্যে আর কোন লোকও ভাড়া করে আন্তে হয় না, আমি এখনই পারি এই কথা ? যাবো নাকি ?” রমণ বাবু “আর এখন যাওয়ার আবশ্বক নাই, আজিকার মত যেমন আছে তেমনিই থাকুক" (স্বগত) কি আশ্চৰ্য্য ! ভগবানের কি বিড়ম্বন, ক্ষিপ্তও নয়, কিন্তু এমন বর্বর ত অণর কোথাও দেখি নাই ? এ আমাকে কখমৃ কোম্ বিপদে ফেলিবে তাহারও কিছু স্থির নাই, বাবা কি ভয়ানক ব্যাপার! গঙ্গার সংস্রবের স্ৰেণত সরায় ছে চে ফিরাইতে কঠিন বোধ হয় না, কি করিয়াই বা এ বালাইয়ের হাত ছাড়াই, যদি কোন কৰ্ম্ম করিতে