পাতা:নটনন্দিনী.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন্বেষণে যাত্র । ৭৯ বলি ত তাহার বিপরীতটা যেন করে বসে আছে, আবার একটু অনাদর করিলে সম্পূর্ণ অভিমান করা হয়, তাহাও আমার করা উচিত নহে, আমার পরম উপকারী, কোন অসদ্ব্যবহার করিলে কৃতঘ্নতা প্রকাশ হয়, অকৃতজ্ঞত-জন্ত অবশ্বই দুরদৃষ্ট ভোগ করিতে হইবে । আমি কি বিষম বিপদেই ঠেকিলাম, মনের কথাও কাহার নিকটে প্রকাশের নহে, তাহকে যত্ন করিবার হেতু কেহই জানে না, এরূপ কতকালই বা সশঙ্কিত চিত্তে কাটাইব ; যাহা হউক আমি বড় বিপদৃএস্ত হইলাম’ এইরূপ ভাবিতে ভাবিতে কিঞ্চিৎ অন্যমনস্ক হইলেন, ক্ষণকাল পরে দীর্ঘ নিশ্বাস পরিত্যাগ-পূর্বক রামকে জিজ্ঞাসা করিলেন “রাম তুমি পূর্বে কোথায় ছিলে ?” রাম—“আমি আমার এই বয়সের মধ্যে কেবল একটা বাবুর কাছে কিছু দিন ছিলাম, তাছাড়া খুড়ার কাছেই আমি ছিলাম, আর কোথায়ও কখন থাকি নাই, তবে যে বাবুটীর কাছে ছিলাম তিনিও আমাকে বড় ভাল বাসিতেন, আর তার বড় মাছধরা বাই ছিল; তবে শুনুন বলি।--” - রমণ—“আচ্ছা সে কথা থাকুক ; আর কায নাই –– ক্ষান্ত থাকো বাবা ঢের হয়েছে ? রাম–“মহাশয় কথায় কথায় আমার উপর যদি এতই রাগ করবেন, আর আমি একটা কথা বলতে গেলেই “রোসো", “আর কাষ নাই” “চের শুনেছি” “ক্ষান্ত হও", এরূপ বলবেন তবে আপনার কাছে কথাটা কহাও ভার, এঅবস্থায় আমার এখানে থাকায় কি সুখ ? অামাকে বিদায় দিন আমি চলিলাম। " রমণ-কেন ছে বাপু রাগ কর কেন? রাম--না রাগ কিসের ?