পাতা:নটনন্দিনী.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

मछेनग्निौ । : ہا মন প্রতীক্ষা করিতেন, সে দিন তাহারাও আড়াই প্রহরের মধ্যেই আসিয়া উপস্থিত হইল , উহাদিগকে দেখিবামাত্র দুঃখিনী ঈষদৃ হাস্য করিয়া বলিলেন অগ্নি বঁাচলাম, কতদিন যে এ যাতন সহিতে হইবে তাহার কিছুই সীমা নাই, কুসুম দুঃখিনীর হস্তধারণ করিয়া লইয়া গৃহমধ্যে প্রবেশ করিল আর আর সকলে পশ্চাতে যাইয়া একত্রে উপবেশন করিলে কমলা আপনার অবস্থার অবশিষ্ট বক্তৃত আরম্ভ করিল। অগঃ মা দুঃখিনী যখন আমি বাগবাজারে সেই লাহিড়ী মহাশয়ের কাছে ছিলাম সে দিনের কথা আর এখন কার দশা ভাবিলে প্রাণে কি কিছু থাকে গা ? কিছুদিন পরেই আমি গর্ভিণী হইলাম, পাচমাসে পঞ্চামৃত আটমাস, নয়মাসে সাধ উপলক্ষে লাহিড়ী মহাশয় এরূপ ব্যয় ভূষণ এবং সমারোহ করিলেন, তেমন কোন বড়লোকের ঘরেও হয় না তখন সোণ রূপার অলঙ্কার আমার সকলই ছিল, কাশীধাম হইতে বারানশী সাড়ীঅনাইয়া দিলেন আর খাওয়া দাওয়া ব্যাপারে আলাপী মেয়ে পুৰুষ কেহই বাকি ছিল না, আবার তার পর ষত লোক নিমস্ত্রণে আসিয়াছিল সকলেই ভাল ভাল কাপড় ও মিষ্টান্ন সামগ্ৰী দিতে আরম্ভ করিল, সে সময়ে মেটাই মোও ভিখারীর ভিক্ষা দেওয়া হইয়াছে । দশমাসে এক কন্যা প্রসব করিলাম, সকলে মেয়ে হইয়াছে বলিয়া উঠিল আমার বুক পাচ হাত, আমি সেই প্রসব যন্ত্রণ অবহেলা করিয়া তৎক্ষণাৎ উঠিয়া বসিলাম, দাই কন্যাটীকে আমার কোলে দিলে, কন্যার রূপ দেখিয়া আমার শরীরে ক্লেশের লেশ থাকিল না, প্রতিবাসীরা আসিয়া সকলেই বলিতে লাগিল, “আছা আঁতুড়ঘর যেন আলো করেছে