পাতা:নটনন্দিনী.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vs নটনন্দিনী । মহাশয় অতি নিরীহ ছিলেন, আমার রাগ হইয়াছে মনে করিয়া হাসিতে হাসিতে বলিলেন “না না আমি তা বলি না রাগ কর কেন ? তবে বলি কি আমার অজ্ঞাতে যাহা জান অর্থাৎ অামি যাহাতে লজ্জা ন পাই তাছাই করিবে ।" সে কথায় আমি দ্বিগুণ জুলিয়া উঠিলাম, বলিলাম ‘ ভাল রে ভাল ! যখন সাধ দিলে মেয়ের ভাত দিলে তখন লজ্জা কোথায় ছিল ? এখন একটা ভদ্রসস্তান জামায়ের মত আসা যাওয়া করিলেই কি যত লজ্জা ?’ লাহিড়ীমহাশয় আর কোন উত্তর দিলেন না, পরে রাধিকামোহনের যাতায়াতে আমি অতুল মুখী হইলাম। বৎসরেক পরে লাহিড়ী মহাশয়ের স্বৰ্গলাভ হইল তাছার বিয়োগ জষ্ঠ শোকেই কাতর হইলাম ভুবনের কল্যাণে আর কোন অসুখ ছিল না । কিছুদিন পরে দুর্গাদাস নামে এক জন নাপিতের ছেলে সময়ে সময়ে আমাদিগের বাড়ীতে আসিতে লাগিল, ক্রমে তাহার সম্বন্ধে লোকে ভুবনের অপযশ ঘোষণা করাতে আমি সতর্ক হইলাম এমন কি, দুগণদাস যাহাতে আর না আসে এরূপ করিলাম, কিন্তু দেখিলাম, মেয়ে আমার দিন দিন অবশ হইয়া উঠিল, রাধিক বাৰু এইরূপে বিরক্ত হইলেন, আশা যাওয়া একেৰারে বন্দ করিলেন, তখনও কিছু সঙ্গতি ছিল, দিনপাতের ক্লেশ ছিল ন", কিন্তু কলসির জল, কতক্ষণ থাকে? অস্থ্য কোন ভদ্রলোক এক দিনের অধিক আইসে না, ভুবন দুমুখের শেষ হইল, লোকুকে কটু কথা ভিন্ন বলে না। এই সকল দেখিয়া আমি তাহাকে এক দিন বলিলাম ছ্যা গে মেয়ে ? তোমার কি এই উচিত ব্যবহার ? সে উত্তর করিল