পাতা:নটনন্দিনী.pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vv. নটনন্দিনী । সাধ্য মত স্থানে স্থানে তত্ত্ব করিলাম, কোন অনুসন্ধান করিতে পারিলাম না সকল লোক একবারেই উথলিয়া উঠিল দিন রাত কাদি, মুখে একবিন্দ্র জল দিয়া প্রাণ রক্ষা করে এমন কেহই নাই আবার পোড়া পেটের ভাবনাও প্রবল অবশিষ্ট—যে কিছু জিনিস পত্র ছিল বেচে কিনে দিনপাত করিতে লাগিলাম, তখনও কাল যে আমার চিরকালের মতন কালের স্বরূপ হইবেন এমন বোধ ছিল না, কোথাও না কোথা আছে আমার এই দুঃখের কথা শুনিলে অবশ্যই দেখা দিবে। আমার মেয়ে ত বরং এবার না হয় আর কিছুই বলিব না, ইহাই ভাবিলাম, কিছু দিন পরে শুনিলাম যে দুর্গাদাস বাটতে আসিয়াছে শুনিবা মাত্র মনে ভাবিলাম হয়ত ভুবনমোহিনীও সঙ্গে আছে এবং তৎক্ষণাৎ তাছার নিকটে গিয়া জিজ্ঞাসা করায় সে উত্তর করিল আমি ভুবনের কোন সংবাদ জানি না" এই কথা শুনিয়াই পৃথিবী শূন্ত চতুর্দিক অন্ধকারময় দেখিয়া ’ বুকফেটে যায় যে" বলিয়া –কাটা কলাগাছের সমান মাটিতে পড়িলাম, ক্ষণেক পরে মনে হইল মা বুঝি আমার ঘরে আছে বাড়ীর দিকে দোঁড়িলাম ঘরে আসিয়া “ ভুবন ? ভুবনমোহিনী ? মা ভুবন ? তুমি কোথায় গেলে ?” এই বলিয়া আৰ্ত্তনাদ করিতে লাগিলাম। মনুষ্য শরীরে সকলই সয় এখন আর সে শোক নাই তাপ ও নাই আবারই পেটের দায়েও লালায়িত যে সকল লোক এক বার অামাকে দেখিবার আশায় আমার চাকরাণীকে মুটো মুটো টাকা দিতে কাতর হইত না, যে সকল লোক কেনা গোলামের মত, দিবারাত্র মন রক্ষা করিতে ক্রটি করিত না এবং যে সকল লোক আমার মাড়া ধরিলে সৰ্ব্বনাশ অনুভব করিত, এক্ষণে তাছা