পাতা:নটীর পূজা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নটীর পূজা
৪১

ক্ষীণকণ্ঠ মন্দাগ্নিম্লান নির্জীবের হাতে তার দুর্গতির কি সীমা থাকবে। তোরা ক্ষত্রিয়ের মেয়ে, কথাটা তোদের কাছে এত নতুন ঠেকছে কেন বাসবী।

বাসবী

 এই পুরোনো কথাটা হঠাৎ আজ যেন একদিনে ঢাকা পড়ে গেছে—বসন্তে নিষ্পত্র কিংশুকের শাখা যেমন করে ফুলে ঢেকে যায়।

লোকেশ্বরী

 কখনো কখনো বুদ্ধিভ্রংশ হয়ে পুরুষ আপন পৌরুষধর্ম ভুলে যায় কিন্তু নারীরা যদি তাকে সেটা ভুলতে দেয় তাহলে মরণ যে সেই নারীর। মহালতার জন্যে কি মহাবৃক্ষের দরকার নেই। সব গাছই গুল্ম হয়ে গেলে কি তার পক্ষে ভালো। বল্ না। মুখে যে উত্তর নেই।

বাসবী

 মহাবৃক্ষ চাই বই কি।

লোকেশ্বরী

 কিন্তু বনস্পতি নির্মূল করবার জন্যেই এসেছেন তোমাদের গুরু। তাও যে পরশুরামের মতো কুঠার হাতে করবেন এমন শক্তি নেই। কোমল শাস্ত্রবাক্যের পোকা তলার তলায় লাগিয়ে দিয়ে মনুষ্যত্বের মজ্জাকে জীর্ণ

8