পাতা:নদীয়া-কাহিনী - কুমুদনাথ মল্লিক.pdf/১৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S88 নদীয়া কাহিনী। প্ৰায় সমস্ত অধ্যাপক ব্ৰাহ্মণ-পণ্ডিত নিমন্ত্রিত হইয়া আসেন। নবদ্বীপ-প্রদেশের অধ্যাপকগণ ব্যতীত সকলেই রামজয়শিরোমণির বিরোধী। সকলেই রামজয়কে অপদস্থ করিবার জন্য বন্ধপরিকর। কিন্তু রামজয়ুশিরোমণি ভীত হইবার পাত্র নহেন, তিনি স্থির অচল। সভাস্থলে উপস্থিত হইয়া বলিলেন;-“কে কে আমার ব্যবস্থার বিরোধী, তাহারা অনুগ্রহ করির অগ্রসর হউন।” এই সময় স্মৰ্ত্ত পণ্ডিতগণের মধ্যে একটা মহা কোলাহল উপস্থিত হয়। তাহার পর, তিনি সকলের DD BDBB DBB u DBS DD LDBBDS DD D DD C Bu যতক্ষণ অবস্থিতি করিবে লেখেন, তাহ কেহই উল্টাইতে পারেন না। তাহার পর, স্মৃতিশাস্ত্রের বিচার আরম্ভ হয়। শিরোমণি স্মৃতিশাস্ত্রেও বিলক্ষণ বুৎপন্ন ছিলেন। তিন দিন বিচারের পর তঁহারই লিখিত ব্যবস্থার অনুকূলে অধিকাংশ পণ্ডিত মত প্ৰদান করেন। তাহার পর, সর্ববন্দি-সম্মতি ক্ৰমে দুইদিন পূজার ব্যবস্থা-পত্রে সমস্ত পণ্ডিত স্বাক্ষর করেন। ঐ বৎসর বঙ্গদেশের সর্বত্র রামজয় শিরোমণির ব্যবস্থা অনুসারেই শারদীয়ু-পূজা সম্পন্ন হয়। এই সভায় রামজয় শিরোমণি সর্বোচ্চ বিদায়ু প্ৰাপ্ত হন । একবার গবর্ণদ্বজেনেরাল হাডিঞ্জ সাহেব নববীপে চতুষ্পাঠী পরিদর্শনার্থ আগমন করেন। নদীয়ার সমুদয় পণ্ডিতমণ্ডলী ষ্টিমারে গিয়া - তাহার সহিত সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকার কালে লটসাহেবকে একটু উৎকণ্ঠিত দেখায়। কথা-প্রসঙ্গে লাটসাহেব বলেন “তঁহার পত্নীর যে দিবস কলিকাতা পৌছবার কথা ছিল, সে দিবস। অতীত হুইয়াছে। লেভী হাডিজ বিলাত হইতে যাত্রা করিয়াছেন এ সংবাদও তিনি পাইয়াছেন, অথচ কলিকাতায় জাহাজ না পৌঁছায় সাহেব বিপদাশঙ্কা করিতেছেন”। সকল পণ্ডিতই রামজয়শিরোমণির মুখের প্ৰতি দৃষ্টিপাত করিলেন। শিরোমণি, সেই সময় যে লগ্নে প্রশ্ন হইয়াছিল, তদনুসারে গণনা করিয়া বলিলেন :-“আপনার পত্নী এখন কলিকাতার অতি সন্নিতি স্থান পৰ্য্যন্ত আসিয়াছেন। আপনি কলিকাতা উপস্থিত হইলেই তঁহার সহিত সাক্ষাৎ হইৰে”। লাটসাহেবের মুর্শিদাবাদে যাইবার কথা ছিল, তিনি সে সঙ্কল্প পরিত্যাগ করিয়া কলিকাতা অভিমুখে যাত্রা করিলেন। কলিকাতার গঙ্গার ঘাটে পৌঁছিয়াই দেখেন 'লেভী হার্ডিঞ্জ, লাট-সাহেব মুর্শিদাবাদ গিয়াছেন শুনিয়া সেখানে যাইবার জন্য অন্য একখানি ষ্টিমারে আসিয়া উঠিয়াছেন।” গঙ্গার ঘাটেই