পাতা:নদীয়া-কাহিনী - কুমুদনাথ মল্লিক.pdf/৩২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नौश-कांश्निी । R br-N এই বিপত্তিকালে তঁহার অনাথিনী গর্ভবতী স্ত্রী একজন ব্ৰাহ্মণ, একজন দাস ও একটী দাসী এবং দুইশত সুবর্ণমুদ্র সহিত বাগোয়ান পরগণার জমিদার হরেকৃষ্ণ সমাররের বাটীতে যাইয়া লুকায়িত থাকেন । শীঘ্রই তাহার একটী সুকুমার ভূমিষ্ঠ হয়েনি। এই পুত্রের নাম রামচন্দ্র ৷ হরেকৃষ্ণ সমদ্বিার নিঃসস্তান ছিলেন, সুতরাং মৃত্যুকালে তিনি রামচন্দ্ৰকেই আপনার ক্ষুদ্র জমিদারি পাটকাবারি। ও বাগোয়ান প্ৰভৃতির অধিকারী করিয়া যান । সুবিদ্বান রামচন্দ্রও পরমোপকারী মিত্র হরেকৃষ্ণ সমদ্বিারের প্ৰতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতার নিদর্শনস্বরূপ রাম সমাদ্ধার নাম গ্ৰহণ করেন। তঁহার দুর্গ (দাস, জগদীশ, হরিবল্লভ এবং সুবুদ্ধি নামে চারিটিী পুত্র জন্মগ্রহণ করে। এই দুর্গাদাসই পরে “মহারাজ ভবানন্দ মজুমদার” নামে অভিহিত হয়েন। দুর্গাদাস বাল্যকাল হইতেই চতুর ছিলেন এবং আপনার বুদ্ধিকৌশলে, হুগলীর ফৌজদারের সাহায্যে ঢাকার নবাবকে সন্তষ্ট করিয়া হুগলীর কানিনও পদ লাভ করেন। উত্তরকালে কিরূপে ভবানন্দ, বঙ্গের শেষ স্বাধীন বাঙ্গালী ভুপতি প্রতাপের খুল্লতাত পুত্র কচু রায় ও চােচরা রাজবংশের পুর্বপুরুষ মহাতাপ রাম রায়ের সাহায্যে প্ৰতাপের রাজধানী প্রবেশের গুপ্ত পথ দেখাইয়া, ও রসদাদি দিয়া তদনীন্তন দিল্লীশ্বর জাহাঙ্গীরের সেনাপতি মানসিংহকে নদীয়া সমুদ্রগড়ে সসৈন্য পার হইবার সহায়তা করিয়া প্ৰতাপের এবং সমগ্র বাঙ্গলী জাতির সর্বনাশ সাধন করিয়াছিলেন, বঙ্গের ইতিহাস পাঠকমাত্রেই তাহ অবগত আছেন। মানসিংহের সহায়তারূপ সৎকাৰ্য্যের জন্য তদানীন্তন সম্রাট জাহাঙ্গীর ১৬০৬ ঋষ্টাব্দে কচু রায়কে বিগত শ্ৰী যশোহর রাজ্য, ও মহাতাপ রাম রায়কে সৈয়দপুর মাণিকপুর, আহামদপুর ও মুড়াগাছা এই চারি পরগণার জমিদারী স্বত্ত্ব ও এক **মান দ্বারা ভবানন্দকে তঁহার পিতামহ কাশীনাথের সুবিস্তীর্ণ জমিদারী ও নদী, মহংপুর, লেপা, সুলতানপুর, প্রভৃতি চতুৰ্দশ পরগণার স্বামীত্ব প্রদান **ণ । মজুমদার এই সময়ে তাহার বিস্তীর্ণ জমিদারীর সুচারুরূপে শাসন *"পিরবার জন্য ষাগোয়ান ব্যতীত মাটিয়ারীতে আর একটি প্ৰসাদ নিৰ্ম্মাণ করেন। *ালের প্রভাবে এই মাটিয়ারী এখন বনাকীর্ণ। প্রাসাদের ধ্বংশাবশিষ্ট ইষ্টক *লিও ই বি, রেলের খেয়ায় পরিণত হইয়াছে। কেবলমাত্র একটি মন্দির

    • ানে "ওয়মান রহিয়া অতীত ইতিহাসের সাক্ষ্য প্ৰদান করিতেছে। এই সময়ে

VS