পাতা:নদীয়া-কাহিনী - কুমুদনাথ মল্লিক.pdf/৪০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नौश-कांछिभी । WOS চৌধুরী। এই মহকুমায় তাহায় জমিদারীর আয় প্রায় চল্লিশ হাজার টাকা তাহার পরে আমেলা সদরপুরের সাহা বাবুদের জমিদারী ; তাহাক্স আয় এই মহকুমায় পািনর হাজার টাকা। এতদ্ভিন্ন আরও অনেক ছোট ছোট জমিদার ও তালুকদার আছেন। এই মহকুমার শতকরা প্রায় ৭৫ জন প্ৰজা কৃষিজীবি ; ১২ জন মজুর ; ৮ জন ব্যবসায়ী ও কৰ্ম্মচারী ; ৫ জন শিল্পী। কৃষিজীবি প্ৰজার মধ্যে প্রায়

  • उकद्रा ४० छन भूलगभान।

কৃষকদিগের অবস্থা প্রায়ই শোচনীয়। জমির উর্বরতা শক্তি বড় কম। পুর্ববঙ্গের ন্যায় এ জেলায় বন্যার জল দ্বারা মাঠে পলিমাট পড়ে না ; আবার পশ্চিম বঙ্গের ন্যায় জমিতে সারা দেওয়ার রীতিও নাই। পুর্বে জমির উর্বরতাশক্তির বৃদ্ধির জন্য একই জমি বছরে বছরে চাষ করা হইত না, ফেলিয়া রাখা হইত। এখন লোকসংখ্যা বেশী, জমির পরিমাণ কম ; সেই জন্য জমি প্রায়ই ফেলিয়া রাখা হয় না। এই সব কারণে জমির উর্বরতা শক্তি ক্রমেই হ্রাস হইতেছে। পরীক্ষা করিয়া দেখা গিয়াছে ১ বিঘা মধ্যম রকমের জমিতে ৩০ মণ। আউস ধান, ২০ মণ ছোলা, ১০ তিসি, ৩ মণ পাট জন্মে। এই মহকুমার অধিকাংশ জমিতে বৎসরে দুইটী ফসল জন্মে-আউস ধান বা পাট, পরে সারস, বা মটর, বা কলাই; বা মুগা বা ছোলা বা তিসি, বা গম বা যাব। আবাদী জমির প্রায় দশ আনিতে আউশ ধান হয়, প্ৰায় অর্থেকে রবি ফিশাল হয়, প্ৰায় ঠিন অংশে আমন ধান হয়, প্রায় ঐ অংশে পাট হয়। পাটের আবাদ ক্রমেই বাড়িতেছে। আলমডাঙ্গা থানার মধ্যে ইক্ষুর চাষও ক্রমে বাড়িতেছে। রেলের রাস্তার পূর্ব দিকে খেজুর গাছের আবাদ খুব বেশী । - জমির উর্বরতা শক্তি কম বলিয়া জমির মূল্য খুব কম। এক বিঘা রায়তি জমির মুল্য ৫৭ টাকার বেশী নহে; কিন্তু পুৰ্ব্ব বঙ্গে ইহার মূল্য ২৫-৩০ টাকা হইবে। জমির খাজানা বিষা প্রতি ৭০ আনা হইতে ১০ পৰ্যন্ত দেখা যায়। ওঠবন্দী জমির পরিমাণই বেশী ; রায়তী জমাইজমি অপেক্ষাকৃত কম। । কৃষক।দ্বিগের মধ্যে প্ৰায় দশ আনি লোক মহাজনগণের নিকট ধান্ত ও : টাকায় । ঋণে আবদ্ধ। প্ৰায় প্রত্যেক গ্রামেই ছোট বড় मशचनषिcत्रद्ध অনেক গোলা । দেখিতে পাওয়া যায়। একবার যে কৃষক মহাজনের কাছে ঋণে আৰম্ভ হয়,