পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম পরিচ্ছেদ >>6. সাংসারিক জ্ঞান নাই ; কিন্তু আমার সাহস আছে,উদ্যম আছে, সংসারে প্রতিষ্ঠাস্থাপনের আশাও আছে! আপনি আমার প্রতি নির্দয় হইবেন ন৷ ”--— নওরোজি এমন স্বরে এত আবেগ ও আন্তরিকতার সহিত এই কথা কয়ট বলিলেন যে, তাহা বৃদ্ধার হৃদয় স্পর্শ করিল ; কিন্তু তিনি বিচলিত হইলেন না। তিনি ধীরে ধীরে বলিলেন, “আমাকে এ সকল কথা বলিয়। কোনও ফল নাই। কর্ণেলিয়া আমার কন্যা নহে , তাহার উপর আমার কোনও অধিকার নাই ; তবে আমি তোমার নিকট এই টুকু অঙ্গীকার করিতে পারি যে, তাহার পিতামাতার কর্ণে তোমার এই বেয়াদপির কথ। যাহাতে স্থান না পায়, তাহার ব্যবস্থা করিব । কাসে টজি যে রকম রাগী, তাহাতে তাহার কাণে একথা উঠিলে সে একটা মহা অনর্থ ঘটাইয়া বসিবে ; সে জন্যই তোমাকে বলিতেছি, সময় থাকিতে তুমি এখান হইতে চলিয়া যাও, নতুব তোমার ভয়ঙ্কর বিপদ ঘটিবে ।” নওরোজি উন্মত্তের মত স্থলিত পদে সেই কক্ষ হইতে নিশ্রশস্ত হইলেন ; উদ্ভান্ত চিত্তে অট্টালিকা হইতে অবতরণ করিলেন । অট্টালিকার সম্মুখেই পুষ্প কানন ; তাহার পাশ দিয়া তিনি ধীরে ধীরে অগ্রসর হইলেন ; কিছু দূরে আসিয়া দেখিতে পাইলেন, একটি কামিনী তরু তলে কর্ণেলিয়া দণ্ডায়মান আছে ; তাহায় মুখ গম্ভীর, বৃষ্টি স্থির, যেন সে ছবির মত নিম্পন্দ । নওরোজিকে দেখিয়া কর্ণেলিয়া বলিল, “নওরোজি আমি সকলই শুনিয়াছি।”