পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ `ම්ව মেটা সাহেব গর্জন করিয়া বলিলেন, “যাও যাও ! এখন আমাকে বিরক্ত করিও না।” আমিন বলিলেন, "মেজাজ দিব। রাত্রিই চটিয়া আছে। কেমন আছেন জানিতে চাহিলাম, উনি কামড়াইতে আসিলেন ! মরণ আর কি ?” মেটা সাহেব ততোধিক গজ্জন করিয়া বলিলেন, “কি ! তুমি আমাকে কুকুর বলিলে ?” আমিন বলিলেন, “আমি ত চোখের মাথা খাই নাই যে, তোমাকে কুকুর বলিব ! কুকুরের চারিখানা পা আছে, গায়ে লোম আছে, এবং একটি লেজ আছে ; তোমার এ সকলের কি আছে যে, তোমাকে কুকুর বলিব ? ভাল কথা এমন মন্দ ভাবে লইলে সংসার অচল হয় ।” মেটা সাহেব বলিলেন, “অচল হয় হউক, কিন্তু আমি তোমাকে বলিতেছি,—আমার মনের কথা স্পষ্ট করিয়৷ বলিতেছি, দীনস কাওয়াসজি দস্তুরের সঙ্গে আমি কর্ণেলিয়ার বিবাহ দিব না।” বিষম বিস্ময়ে আমিন ক্ষণকালের জন্য নিৰ্ব্বাক্ রহিলেন। এ কি অস্তৃত রহস্য! ডাক্তার লালুভায়ের সহিত সাক্ষাতের পর হইতে তিনি ক্রমাগত চিন্তা করিতেছিলেন, তিনি স্বামীকে কিরূপে এই বিবাহ বন্ধ রাখিবার জন্য অনুরোধু করিবেন, কিরূপে ডাক্তারের নিকট র্তাহার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করিবেন ; আর র্তাহার স্বামীর সহিত সাক্ষাৎ হইবামাত্র তিনিই সৰ্ব্বাগ্রে বিবাহ ভঙ্গের প্রস্তাব করিয়া বসিলেন একি স্বপ্ন, না ইন্দ্ৰজাল ? তাহার একবার সন্দেহ হইল, তাহার সহিত ডাক্তারের গোপনে যে কথা হইয়াছিল, তাহা তাহার স্বামীর কর্ণগোচর হইয়াছে,