পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তদশ পরিচ্ছেদ دهد যোগ্য নহি —তোমরা টাকা চাও, টাকা আনিয়াছি, এই লও। আমি রুমালে বাধা টাকাগুলি সবেগে মেঝের উপর নিক্ষেপ করিলাম।” “আমার প্রিয়তম আশায় উৎফুল্প হইয়া ক্ষীণ কণ্ঠে বলিলেন, ‘টাকা পাইয়াছ ? তাহা হইলে আমাদিগকে আর না খাইয়া মরিতে হইবে না; এ যাত্রা বোধ হয় আমি বাচিব ? কিন্তু আমার বন্ধুদ্বয় নিৰ্ব্বাক ভাবে আমার মুখের দিকে চাহিয়া রহিলেন ; তাহার বোধ হয় ভাবিয়াছিলেন, আমি এ টাকা চুরি করিয়া আনিয়াছি।” “আমি তাহীদের মনের ভাব বুঝিতে পারিয়া বলিলাম, ‘না, আমি ইহা চুরি করিয়া আনি নাই ; আমি এমন কোনও উপায়ে এ টাকা হস্তগত করি নাই, যে অপরাধে পুলিস আমাকে ধরিয়া ফৌজদারীতে দিতে পারে ; কিন্তু আত্মসন্মান বিক্রয় করিয়া আমি এই টাকা লাভ করিয়াছি ; ইহ। উপার্জন করিতে আমাকে ভদ্রতা, সুনীতি ও মনুষ্যত্ব বিসর্জন দিতে হইয়াছে।’ “তাহার পর দুই এক সময় এই দুষ্কৰ্ম্মের জন্য আমার মনে অমুতাপের সঞ্চার হইয়াছিল, কিন্তু মদ্যের প্রবাহে ও আমোদের স্রোতে তাহা কোথায় ভাসিয়া লুপ্ত হইয় গেল ! আমাদের তিনজনেরই মনে হইল, অর্থোপার্জনের পথ যখন এত সহজ, তখন আমরা এই পথে ন। যাই কেন ? লোকুে দুৰ্ব্বলতার বশবর্তী হইয়া পাপাচরণে প্রবৃত্ত হয়, পাপ করিয়া তাহ গোপন রাখিতে চায় ; এই সকল গুপ্ত পাপের সন্ধান লইয়া আমরা যদি সেই পাপিষ্ঠগণের নিকট হইতে ভয়প্রদর্শন পূৰ্ব্বক অর্থ সংগ্ৰহ করি, তবে তাহাতে দোষ কি ? এইরূপে আমাদের নুতন ব্যবসায়ের স্বত্রপাত।”