পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২০২

Xసె\9 নন্দনে নরক আফিসে যাতায়াত করিতেছে ; এ অবস্থায় তাহদের নিকট হইতে কত গুপ্ত সংবাদ সংগৃহীত হইতে পারে, বুঝিয়া দেখুন। “আপনি মনে করিবেন না যে, আমার অধীনস্থ এই সকল দাস দাসী আমার গুপ্ত অভিপ্রায়ের কথ। অবগত আছে ; আমি কি মতলবে তাহাদের সহিত কোন কথার আলোচনা করিতেছি, তাহা তাহার বুঝিতে পারে না, অথচ অতি সহজেই আমার অভিপ্রায় সিদ্ধ হয়। কার্য্যোদ্ধারের এই শক্তিকেই আমি আমার প্রতিভা বলিয়া মনে করি। কোনও গুপ্ত রহস্যের যৎসামান্ত আভাসমাত্র পাইলেই আমি অল্প সময়ের মধ্যে সমগ্র রহস্তটিকে আয়ত্ব করিয়া লইতে পারি। এখন এই ব্যবসা হইতে প্রতিবৎসর আমাদের প্রত্যেকের ত্রিশ চল্লিশ হাজার টাকা আয় হয়।” প্রেমজি বসিয়া বসিয়া সকল কথা শুনিতেছিল ; সে নব্য যুবক, পাপ ও কুকৰ্ম্মে সম্পূর্ণ অনভ্যস্ত ; এই সকল শয়তানির কথা শুনিয়া ভয়ে তাহার মুখ শুকাইয়া গেল ; সে দুশ্চিন্তায় অধীর হইয়া खेठिंबा । জেমসেটুজি বলিতে লাগিলেন, "এপর্য্যস্ত আমরা সাবধানেই কাজ চালাইয়া আসিয়াছি; সহজে যে আমরা বিপন্ন হইব, সে আশঙ্কাও নাই । কিন্তু সত্য কথা বলিতে কি, এই ব্যবসায়ে লুিপ্ত থাকিয়া মুহূর্তের জন্যও আমাদের দুর্ভাবনা দুর হয় না। এখন আমরা প্রাচীন হইয়াছি, এখন একটু নির্ভাবনায় কাল কাটাইবার জন্য বড়ই আগ্রহ হইয়াছে ; সেই জন্য মনে করিতেছি, এই বিপজ্জনক ব্যবসায় ছাড়িয়া দিয়া এমন একটা কিছু করিতে হইবে, যাহাতে নিরাপদে অবশিষ্ট জীবনের জন্য কিছু