পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԳՏ. নন্দনে নরক গেল, তাহ তুমি ভুলিতেছ কেন ? তুমি অনেককে গীত বাজনা শিখাইয় অর্থোপার্জন কর, ইহা কি ভুলিবার কথা ?” . প্রেমজি হতাশভাবে বলিল, “আমি কাহাদের গান বাজনা শিখাইয় অর্থোপার্জন করি ?” হীরাজি পকেট হইতে তিন খানি নামের কার্ড বাহির করিয়া তাহ। প্রেমজির হাতে দিয়া বলিল, “এই দেখ তোমার ছাত্রদের নাম, সন্ধ্যার পর ইহাদের বাড়ী গিয়া তুমি ইহাদের গানবাজান শিখাও ; একথায় তোমার সন্দেহ হইলে তুমি তোমার ছাত্রদের বাড়ী গিয়া তাহাদিগকেও জিজ্ঞাসা করিতে পার, তুমি তাহদের বেহালা শিখাইয়াছ কি-না। তাহাদের কথা শুনিলেই তোমার সকল সন্দেহ দূর হইবে।” প্রেমজি বলিল, “তোমার উপদেশে চলিবার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা, করিব।” ■ হীরাজি বলিল, “আমার উপদেশানুসারে সকল কাজ মনোযোগের সহিত পালন করিবে ; তাহার একবর্ণও ভুলিবে না।—এতদিন পর্য্যন্ত কাজকৰ্ম্ম করিয়া যাহ তুমি সঞ্চয় করিয়াছ, তাহ তুমি বোম্বাই ব্যাঙ্কে জমা রাখিয়াছ, তোমার ব্যাঙ্কের রসিদ টেবিলের দেরাজের মধ্যে আছে । আজ আমি চলিলাম, ডাক্তার লালুভাইকে লইয়া আমি এখানে কাল আবার আসিব ; স্মরণ রাখিও, তোমার দুঃখের নিশি অবসান হইবে, একদিন তুমি লক্ষপতি হইতে পারিবে ।” হীরাজি যখন বাহির হইয়া যায়, সেই সময় লয়লা দাসী তাহার সম্মুখে আসিয়া বলিল, “আপনি আমাকে যে সকল কথা শিখাইয়৷ ছিলেন, তাহ ঠিক ঠিক বলিতে পারিয়াছি ত ।”