পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ මමද් ч, “ и „ “, o আমিন সেখানে উপস্থিত হইয়া দেখিল ফুলিয়ার মা রোগযন্ত্রণা অপেক্ষ মনের কষ্ট্রে অধিক কাতর হইয়াছে। কারণ জিজ্ঞাসা করিয়া আমিন জানিতে পারিল, অর্থকষ্টে পড়িয়া সে ওস্তাদের নিকট কিছু টাকা ধার লইয়াছিল ; এখন ওস্তাদ বলে, সে যদি তাহার যুবতী কন্ঠ ফুলিয়াকে তাহার মনোরঞ্জনের জন্য পাঠাইয়া না দেয়, তাহা হইলে নালিশ করিয়া তাহার সৰ্ব্বস্ব বিক্রয় করিয়া লইবে । আমিনা ক্ষণকাল চিস্ত। করিয়া বলিল, “তুমি ব্যস্ত হইও না ; আমি ওস্তাদের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া যাহাতে তোমার প্রতি অত্যাচার না হয়, তাহার ব্যবস্থা করিব।” আমিন। সেই দিনই ওস্তাদের সহিত সাক্ষাৎ করিল, এবং তাহীকে বলিল, “ফুলিয়ার মা অনেক দিন হইতে বাতে ও জরে ভুগিতেছে, তাহার এই দুদিনে তাহার নামে নালিশ করিয়া তাহার সর্বস্বাস্ত কর। অত্যন্ত নিদিয়ের কার্য্য। সম্পত্তির মধ্যে তাহার দুইটী গরু ও কয়েক খানি তৈজস পত্র ভিন্ন আর কিছুই নাই ; তাহার দেনার দায়ে ইহা নীলাম করিয়া তাহার জীবিক নিৰ্ব্বাহের পথ বন্ধ করিও না।” ওস্তাদ বলিল, “আমার টাকা কোথায় যে তাহাকে টাকা ধার দিব ? কয়েক মাস পূৰ্ব্বে সে অর্থকষ্টে বিব্রত হইয়া আমার কাছে টাকার জষ্ঠ আসিয়াছিল; আমি তাহার দুঃখে কাতর হইয়া অন্য লোকের নিকট হইতে টাকা লইয়া তাহাকে কৰ্ত্ত দিয়াছিলাম। ক্ষুদে আসলে এখন অনেক টাকা হইয়াছে ; কিন্তু সে এক পয়সাও দেয় নাই। এ অবস্থায় মহাজন যদি তাহার নামে নালিশ করে, তাহা হইলে আমার অপরাধ কি ?” আমিন জিজ্ঞাসা করিল, “মুদে আসলে কত টাকা হইয়াছে ?”