পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম পরিচ্ছেদ ©ፃፃ প্রধান ভূত্য ঈরাণীর সহিত র্তাহার সাক্ষাৎ হইল ; রোডমণি তাহাকে এজর সাহেবের সংবাদ জিজ্ঞাসা করিলেন । ঈরাণী বলিল, “কালু সন্ধ্যার পর তিনি বেড়াইয়া আসিয়া তাহার শয়ন কক্ষে হঠাৎ মূচ্ছিত হইয় পড়েন, তাহার পর আর মুচ্ছৰ্ণ ভাঙ্গে নাই ; ডাক্তার পরীক্ষা করিয়া বলিয়াছেন, তাহার মস্তিষ্কে সহসা রক্তাধিক্য ঘটায় এইরূপ হইয়াছে ; সদি গৰ্ম্মি বলিয়াই বোপ হইতেছে।” রেডিমণি বলিলেন, “এখন অবস্থা কিরূপ?” ঈরাণী বলিল, “অবস্থা কিরূপ তাহ। যখন ডাক্তারেরাই বলিতে পারিতেছেন না, তখন আমি কিরূপে বলিব ? ডাক্তারের বলিতেছেন, যদি তিনি এ যাত্রা বাচেন, তাহা হইলে তিনি সম্পূর্ণ অকৰ্ম্মণ্য হইয়া লাচিয়া পাকিবেন ; তাহার বাহ্যজ্ঞান ফিরিয়া আসিবে, এ আশা নাই ।” রেডিমণি বলিলেন, “এজর সাহেবের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া ঘথন ফল নাই, তখন আমি একবার বাযরামজির সহিত দেখা করিয়া যাইব, মনে করিতেছি ।” ঈরাণী বলিল, "ডাক্তারদের সহিত পরামর্শের জষ্ঠ্য তিনি বড় ব্যস্ত আছেন, কাহারও সহিত এখন তাহার সাক্ষাতের অবসর নাই । তিনি মুহূৰ্ত্তের জন্যও প্লিতার পাশ্ব ত্যাগ করেন না। আপনি যে তাহার সহিত দেখা করিতে আসিয়াছেন, একথা তাহাকে বলিবার ও আমাদের সাহস নাই ।” রেডিমণি হতাশ মনে প্রস্তান করিলেন । ঈরাণী তাহাকে বায়রামজি সম্বন্ধে যে কয়েকটী কথা বলিয়াছিল, তাহা বিন্দুমাত্র