পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম পরিচ্ছেদ ·I9-> করিল, “আপনি কি জলের কুঁজোট খুজিতে ছিলেন ? আমি তাহ আমার ঘরে লুকাইয়। রাখিয়াছি ; কাল এক সময় আপনি তাহ ভাঙ্গিয়া ফেলিবেন, তাহা হইলে আপনার বিরুদ্ধে আর কোনও প্রমাণ বৰ্ত্তমান থাকিবে না।” ঈরাণী অত্যন্ত নিম্ন স্বরে এ কথা বলিলেও, বায়রামজির বোধ হইল, তাহার সেই স্বর সকলেরই কর্ণে প্রবেশ করিয়াছে ; বায়রামজি ব্যগ্র ভাবে বলিলেন, “চুপ কর, এত জোরে কথা কহিতেছ কেন ?” ঈরণী বলিল, “আপনার ভয় নাই, আমার কথা কেহ শুনিতে পায় নাই ; আপনি যদি কোন অন্যায় কাজ করিয়া থাকেন, তাহা জন প্রাণীকে ও বুঝিতে দেওয়া হইবে না । আপনি হঠাৎ মিৰ্ব্বোধের মত কোন ও কাজ করিবেন না ; যদি কোন বিপদ ঘটে, আমার জীবন দিয়া ও আপনাকে রক্ষণ করিব ।” বায়রামের মনে হইল, তিনি যতখানি অপরাধী, তাহ অপেক্ষ তাহার অপরাধ অনেক গুরুতর,—ঈরাণীর এইরূপ বিশ্বাস হইয়াছে ; তিনি আত্মদোষ-স্বালনের চেষ্টা করিতে লাগিলেন । ঈরাণী বলিল, “আমি আপনার অপরাধের বিচারক নহি ; আমার কাছে আপনাকে কৈফিয়ৎ দিতে হইবে না। আমি জানি আপনি সত্যবাদী, আপনার কোন কথায় আমার অবিশ্বাস নাই । এই প্রাচীন মহা সস্ত্রাস্ত পরিবারের সন্ত্রম যাহাতে বজায় থাকে, তাহ আমাদিগকে করিতেই হইবে ; যদি কাহারও উপর দোষ পড়ে, তাহা হইলে সে দোষের বোঝা—আমি নিজের ঘাড়ে লইতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছি। আমি গরিব লোক, সংসারে আমার কোন বন্ধন নাই ; আপনাদের থাইয়াই