পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ ○○ কৰ্ত্তব্য নহে ; এখন তুমি তোমায় ভরণপোষণের ভার স্বয়ং গ্রহণ কর।’ —ইহার তিন মাস পরেই আমার মাতার মৃত্যু হয়।" মায়ের কথা স্মরণ করিয়া প্রেমজির চক্ষু অশ্র পূর্ণ হইয়া উঠিল ; কথা বাধিয়া গেল। কিন্তু সে সামলাইয়া লইয়া বলিল, “মা মৃত্যুকালে আমাকে কোনও কথা বলিয়া যাইতে পারেন নাই ; এখন সংসারে আমার কেহই নাই ।” জেমসেটুজি বলিলেন, "তোমার এ অনুমান ঠিক নহে ; তুমি পরে জানিতে পরিবে তোমার একজন পরম আত্মীয় এখনও জীবিত আছেন। তুমি আপনাকে অসহায় মনে করিও না ; অন্ততঃ আমাকে তুমি বন্ধু বলিয়া মনে করিতে পার । তুমি তোমার মাতার মৃত্যুর অল্প দিন পরে তোমার মাতার যে কিছু স্থাবরাস্থাবর সম্পত্তি ছিল, তাহ বিক্রয় করিয়া বোম্বাই আসিয়াছ ।” প্রেমজি বলিল, “আমার বিশ্বাস ছিল, বোম্বাইয়ের ন্যায় সুবিস্তীর্ণ ও জনপূর্ণ নগরে —” জেমসেটুজি বাধা দিয়া বলিলেন, “তোমার জীবিকার্জন সহজ হইবে।—ইহা তোমার অনভিজ্ঞতার ফল । প্রতি বৎসর সহস্র সহস্র যুবক কত আশা ও আকাঙ্ক্ষায় হৃদয় পূর্ণ করিয়া মফস্বলের বহু পল্লী হইতে এখানে আসিয়া জীবনসংগ্রামে প্রবৃত্ত হয় ; নানা উজ্জল কল্পনায় তাহাদের নবীন জীবন মোহ মুগ্ধ হয়, কিন্তু দুই এক বৎসর যাইতে না বাইতে তাহারা বুঝিতে পারে জীবনসংগ্রামে জয় লাভ করা নিতান্ত সহজ কাজ নহে। মফস্বলের যে সকল যুবক সাফল্য লাভের আশায় সহরে পদার্পণ করে, তাহদের শতকরা এক জনেরও শৈশব-স্বপ্ন সফল