পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উনবিংশ পরিচ্ছেদ &ᏬᎼ প্রোথিত হইয়াছিল, সে স্থানটী আমাদের অজ্ঞাত নহে। বিশেষতঃ সাপুরজির অস্থি-কঙ্কাল সনাক্ত করাও কঠিন হইবে না । কারণ সাপুরঞ্জি যখন হঠাৎ নিরুদ্দেশ হন, তখন তাহার পকেটে একশত গিনি ছিল, পুলিশের কাগ ঙ্গ পত্রেই এ কথা প্রকাশ ; সাপুরঞ্জির অস্থি-কঙ্কালের পাশে, সমাধি গর্ভে এই গিনিগুলি এখন ও পাওয়৷ যাইতে পারে । যাহাহউক, এই বিচিত্র উপন্যাসের এখনও উপসংহার হয় নাই ; শেয় অংশটি আমি সংক্ষেপে বলিতেছি । এখন বায়রামজি ও তাঁহার স্বী উভয়ে কি ভাবে দিনপাত করিতেছেন বাহিরের লোক তাহ বুঝিতে পারিবে ন। তাহাদের চতুদিকে বিপুল ঐশ্বৰ্য্য, অনন্ত বিলাস বৈভব, কিন্তু পথপ্রাস্তবৰ্ত্তী বৃক্ষতলবাসী গৃহহীন নিরশ্ন ভিক্ষুক ও ঠাহীদের অপেক্ষ অধিক সুধী । তাহার। জীবন্মতভাবে বাস করিতেছেন । কিন্তু তথাপি জনসমাণে দেখাইতে হইতেছে, তাহদের স্থধের সীমা নাই ! এইরূপ জীবন-বিড়ম্বনীয় যে কোনও লোকের পক্ষে অসহ্য । দিবানিশি এই ভাবে কালক্ষেপণ করিয়৷ বাস করা দারুণ কষ্টকর। পেইজ দ্য ষ্ট বোধ হয এলিজার বয়স এখন পঞ্চাশ পূর্ণ ন হইতেই তিনি একেবারে অকৰ্ম্মণ্য হইয়া পড়িয়াছেন, স্বাস্থ্যও ভঙ্গ হইয়াছে । বায়রামঞ্জির অবস্থা ও প্রায় সেইরূপ ।” বামনজি জিজ্ঞাসা করিলেন, “আমিনার সংবাদ কি ?” জেমসেটুজি ললিলেন, “নারীর হৃদয় যে এমন পাষাণের মত কঠিন হইতে পারে, প্রতিহিংসা বৃত্তি যে এমন দীর্ঘস্থায়ী হয়, রমণীর সংকর যে এমন অটল, তাহা পূৰ্ব্বে জানিতাম না। আমিন বায়রামজির সর্বনাশ সাধন করিয়াছিল, বায়রামজির মনের সুখশান্তি সকলই নষ্ট