পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৫৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&68. অনঙ্গনে নরক' , মাণিকজি ফ্রামজির নিকট পাঠাইয়াছিলেন, সুতরাং তিনি এজরা সাহেবের আগমনের প্রতীক্ষায় বসিয়াছিলেন ; কিন্তু তিনি একাকী ছিলেন না, ডাক্তার লালুভাই, প্রেমজি, ও প্রেমজির নব পরিণীত ভাৰ্য্য। নাথুরা বাইও সেই কক্ষে ছিলেন। উকীল বামনজি, প্রেমজিকে এজরা সাহেবের নিকট র্তাহার পুত্ররূপে পরিচিত করিলেন। দীর্ঘকাল পরে পুত্ৰ-মুখ দর্শন করিয়া এজরা সাহেবের আনন্দের সীমা রহিল না ; প্রেমজির সুন্দর সৌম্য মূৰ্ত্তি দেখিয়া তাহার তৎক্ষণাৎ বিশ্বাস হইল, প্রেমজিই তাহার নিরুদিষ্ট সন্তান। প্রেমজির মুখে তাহার বাল্য জীবনের করুণ কাহিনী শ্রবণ করিয়া পুত্রের প্রতি সহানুভূতিতে র্তাহার হৃদয় আদ্র হইল ; প্রেমজি সুপ্রসিদ্ধ সদাগর মাণিকজি ফ্রামজির কস্তাকে বিবাহ করিয়াছেন, এ সংবাদে তিনি অত্যন্ত আনন্দ লাভ করিলেন । পুত্র ও পুত্রবধূকে একত্র দেখিয়৷ তাহার চক্ষু জুড়াইল ; তিনি প্রেমজির কম্পিত হস্ত নিজের হস্তের মধ্যে লইয়। সস্নেহে বলিলেন, “বংস, আমি তোমার সন্ধান পাইয়াছি । এ সংবাদ এখনও তোমার জননীর গোচর করি নাই ; আজ রাত্রে আমি উহাকে সকল কথা বলিব, কাল প্রভাতে তোমাকে ও আমার , পুত্রবধূকে মহা সমারোহে আমার গৃহে লইয়া যাইব ।” কথাবার্তা চলিতেছে, এমন সময়ে সেই কক্ষের বাহিরে অত্যন্ত গোলযোগ উপস্থিত হইল ; ডাক্তার লালুভাই জিজ্ঞাসা করিলেন, "বাহিরে হঠাৎ এত গোলযোগের কারণ কি ?” মাণিকজি ফ্রামজি উঠিয়া বলিলেন, “আমি ইহার কারণ জানিতেছি।”—তিনি দ্বার খুলিতেই দেখিতে পাইলেন, সোণার চসমাধারী