পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ ❖ግ মেটা সাহেব জিজ্ঞাসা করিলেন,"ডায়রীর সে পাতাগুলি কোথায় ?” জেমসেটুজি বলিলেন, “আমি তাহ দেখি নাই, কিন্তু তাহার যে ফটোগ্রাফ তুলিয়া লওয়া হইয়াছিল, সেই ফটো আমি লইয়া আসিয়াছি; ফটো কয়খানি দেখিলেই আপনি বুঝিতে পারিবেন, তাহা আপনার বন্ধুর হস্তাক্ষরের ফটো কিনা ; খ বাহাদুরের হস্তাক্ষর বোধ হয় আপনার অপরিচিত নহে ।” জেমসেটুজি পকেট হইতে কয়েক খানি ফটো বাহির করিয়া তাহা মেটা সাহেবের হাতে দিলেন। মেটা সাহেব ফটো কয়খানি অনেকক্ষণ পৰ্য্যন্ত মনোযোগের সহিত দেখিয় তাহার পর মুখ তুলিয়৷ বলিলেন, "হুঁ, ইহা পেটেলেরই হস্তাক্ষর বটে !” জেমসেটুজি বলিলেন,"অক্ষরগুলি অতি ক্ষুদ্র হইলেও বেশ পরিষ্কার ; উহা অনায়াসেই পড়িতে পারা যায়। ইহা আপনি পড়িবেন, না আমি পড়িব ?” 罩 মেটা সাহেব গম্ভীরস্বরে বলিলেন, “তুমিই পড় আমি শুনিতেছি।” জেমসেটুজি টেবিলের উপর বাতির কাছে ঝুকিয়া পড়িয়া পড়িতে লাগিলেন,— “৫ই অক্টোবর ১৮৬৩ –খুব সকালে কাসে টুজি মেটার সঙ্গে শিকারে যাওয়া গেল। আমাদের সঙ্গে আরও দুইজন লোক ছিল, মেটার প্রাইভেট সেক্রেটারী দাদাচানজি, ও একটা গুজরার্থী চাকর, নাম শঙ্কর। মৃগয়ায় প্রথমটা খুব আমোদ পাওয়া গিয়াছিল, বেলা ১২টার মধ্যেই আমি এক পাল খরগোস শিকার করিয়া ফেলিলাম ! বেলা প্রায় ২টার সময় আমরা মালাবার পাহাড়ের নীচে একটা জঙ্গলে প্রবেশ করিলাম ;