পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৭৮

ዓጫ নন্দনে নরক জেমসেটুজি বলিলেন, “আপনার অনুমান ঠিক হইতে পারে, কিন্তু ব্যক্তি বিশেষের খেয়াল সম্বন্ধে তর্ক করিয়া কোনও লাভ নাই । আপনার বন্ধুর ডায়রীতে আরও অনেক গভীর রহস্তের কথা লিপিবদ্ধ আছে ।” মেটা সাহেব ক্ষণকাল নিস্তব্ধ থাকিয়া বলিলেন, “এ সম্বন্ধে আমার তর্ক করিবার ইচ্ছা নাই ; কিন্তু ডায়রীর এ পাতা যে জাল নহে, ইহা কিরূপে বুঝিব ? জালিয়াতের অসাধ্য কৰ্ম্ম নাই, নোট পর্য্যন্ত যখন জাল হয়,—তখন জালিয়াতেরা কিছু অধিক লাভের আশায় যে, একজন ভদ্রলোকের হাতের লেখা জাল করিবে, ইহা আশ্চৰ্য্য নয়।” জেমসেটুজি বলিলেন, “ইহা যে জাল নহে একথা প্রমাণ করা তেমন কঠিন হইবে না ; ডায়রীর যে কয়েক পৃষ্ঠা ছিড়িয় তাহাদের ফটো তোলা হইয়াছে, সেই কযেকটী পাতা ডায়রীর ছিন্ন পত্রাংশের সহিত মিলাইয়া দেখিলেই সকল সংশয় দূর হইবে।” মেটা সাহেব মুখ তুলিয়। ক্রকুঞ্চিত করিয়া চলমার ভিতর দিয়৷ বক্রবৃষ্টিতে জেমসেট্জির মুখের দিকে চাহিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “ইহাই কি তোমার ধারণা ?” জেমcপটুজি দৃঢ়স্বরে বলিলেন, “হঁ। নিশ্চয়ই।” মেটা সাহেব বসিয়াছিলেন, তিনি হঠাৎ তাহার কেদারায় পৃষ্ঠস্থাপন করিয়া অৰ্দ্ধশায়িত হইলেন, এবং কেদারার দুই দিকের হাতার উপর দুই পা তুলিয়া দিয়া বলিলেন, “তাহা হইলে আমি অপরাধ স্বীকার করিতেছি। স্বীকার করিতেছি আমি গুলি করিয়া স্বেচ্ছায় দাদাচানজিকে হত্যা করিয়াছি। স্বীকার করিতেছি, আমার বন্ধু খাঁ বাহাদুর বেনানজি