পাতা:নববিধান - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

मदविक्षiन S9. উষা গালে হাত দিয়া বলিল, অবাক কাণ্ড । কিন্তু পরীক্ষণেই হাসিয়া ফেলিয়া বলিল, তুমিও দেখছি এক বছরের আগে আর আমাকে ঋণমুক্ত হতে দেবে না। কিন্তু আর কিছু নেই তা ? শৈলেশ বলিল, বোধ হয় না। সামান্য কিছু থাকতেও পারে কিন্তু আমি ত ভেবেচি, এ-জন্মে ও আর শোধ দিতে পারবো না । উষা কহিল, তুমি কি সত্যিই কখনো ভাবো ? শৈলেশ বলিল, ভাবিনে ? কতদিন অৰ্দ্ধেক রাত্রে ঘুম ভেঙে গিয়ে যেন দম আটকে এসেচে। মাইনেতে কুলোয় না-প্ৰতি মাসেই টানাটানি হয়, কিন্তু আমাকে তুমি ভুলিয়ে না। যথাৰ্থ-ই কি আশা কর শোধ করতে পারবে ? উষার চোখের কোণ সহসা সজল হইয়া আসিল । যে স্বামীকে সে মাত্ৰ অৰ্দ্ধ-ঘণ্টা পূর্বেও চিনিত না বলিলেও অত্যুক্তি হয় না, তাহারই জন্য হৃদয়ে সত্যকার বেদন অনুভব করিল, কিন্তু হাসিয়া বলিল, তুমি বেশ মানুষ ত । সংসার করতে ধার হয়েছে, শোধ দিতে হবে না ? কিন্তু এই ক’টা টাকা দিয়ে ফেলতে আমার ক’দিন লাগবে ? সকলের বড় কষ্ট হবেউষা জোর দিয়া বলিল, কারও না । তোমরা হয়ত টেরও “পাবে না কোথাও কোন পরিবর্তন হয়েচে । শৈলেশ স্থিরভাবে চুপ করিয়া বসিয়া রহিল। তাহার মনে হইতে লাগিল অনেকদিনের মেঘলা আকাশের কোন একটা ধার দিয়া যেন তাহার গায়ে রোদ আসিয়া পড়িয়াছে । 叶5 খাম ও পোষ্টকার্ডে বিস্তর চিঠি-পত্ৰ জমা হইয়াছিল, সেই সমস্ত পড়িয়া জবাব দিতে, সাময়িক কাগজগুলি একে একে খুলিয়া চোখ