পাতা:নববিধান - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नक्षिन् করে তবে ছাড়বেন, এ নোটিশ তোমাদের আগে থেকেই দিয়ে বাখলুম। দিগগজ জোর করিয়া বলিল, কখখনো নয়। কিন্তু এ-কথায় আর কেহ যোগ দিলেন না । ইহার পরে সাধারণ গোছের দুই-চারিটিা কথাবাৰ্ত্তার পরে রাত্রি হইতেছে বলিয়া সকলে গাত্ৰোখান করিলেন। প্ৰায় এমনি সময়েই প্ৰত্যহ সভা ভঙ্গ হয়, হইলও, তাই। কিন্তু আজ কেমন একটা বিষন্ন মান-ছায়া সকলের মুখের পরেই চাপিয়া রহিল-সে যেন আজ আর ঘুচিতে bाष्ट्रिव्ण काi । छ्शे বন্ধুরা যে তাহার তৃতীয়বার দার-পরিগ্রহের প্রস্তাব অনুমোদন করিলেন না, বরঞ্চ নিঃশব্দে তিরস্কৃত করিয়া গেলেন, শৈলেশ তাহা বুঝিল। একদিকে যেমন তাহার বিরক্তির সীমা রহিল না, অপরদিকে তেমনি লজারও অবধি রহিল না । তাহার মুখ-দেখানো যেন ভার হইয়া উঠিল। শৈলেশের আঠারো বৎসর বয়সে যখন প্ৰথম বিবাহ হয়, তাহাঁর স্ত্রী উষার বয়স তখন মাত্র এগারো । মেয়েটি দেখিতে ভাল বলিয়াই কালিপদবাবু অল্প-মূল্যে ছেলে বেচিতে রাজী হইয়াছিলেন, তথাপি ঐ দেনা-পাওনা লইয়াই-শৈলেশ বিলাত চলিয়া গেলে- দুই বৈবাহিকে তুমুল মনোমালিন্য ঘটে। শ্বশুর। বধূকে একপ্রকার জোর করিয়াই বাপের বাড়ী পাঠাইয়া দেন। সুতরাং পুত্র দেশে ফিরিয়া আসিলে, নিজে যাচিয়া আর বীে আনাইতে পারিলেন না, ইচ্ছাও তাহার ছিল না। ওদিকে উমেশ তর্কালঙ্কারও অতিশয় অভিমানী প্ৰকৃতির লোক ছিলেন,-অযাচিত” ভাবে কোনমতেই ব্ৰাহ্মণ নিজের ও কন্যার সম্মান বিসর্জন দ্বিারা