পাতা:নববোধ ব্যাকরণ.pdf/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৯৭ ] (১) নৃ হইয়া, অভিধানাদি হইতে প্রতীত হয়, তাহাদিগকে রূঢ় শব্দ বলে। ষথা, জল, স্থল, লবণ, তৈল, বলয়, বিড়াল ইত্যাদি। ৩৬২ । যেসকল শব্দের অর্থ প্রকৃতি ও প্রত্যয়ের অথের সমষ্টি স্বরূপ, তাহাদিগকে যৌগিক শব্দ বলে । যথা—পাচক | এস্থলে পচ ধাতুর অর্থ পাককরণ ও অক প্রত্যয়ের অর্থ কর্তৃত্ব, এই উভয়ের অর্থ লইয়। পাচক শব্দের অর্থ পাককৰ্ত্ত। এরূপ প্রতীতি হইতেছে। তদ্রুপ সহিষ্ণু, রুত্রিম, মুক্তি, ইচ্ছা, রচনা, তদীয়, মৌখিক, জনতা, গাঙ্গেয়, মাধুর্য্য প্রভৃতি শব্দ যৌগিক । ৩৬৩ । বুৎপত্তিলভ্য অর্থের অন্তগত কোন বিশেষ সংজ্ঞার প্রতীতি হইলে, যোগরূঢ় শব্দ বলে। যথা,—পঙ্কজ । পঙ্কজ শব্দের বুৎপত্তি অনুসারে পঙ্কে যে জন্মে অর্থাৎ পদ্ম কুমুদ কালার প্রভৃতি নানা পুষ্পকে বুঝাইতে পারে। কিন্তু শিষ্ট-প্রয়োগ নিবন্ধন পঙ্কজ শব্দে কেবল পদ্মেরই প্রতীতি হইয় থাকে । সুতরাং পঙ্কজ শব্দ যোগরূঢ় | তড়প তুরগ, বিহঙ্গ, মধুকর, পরভৃত প্রভৃতি এই শ্রেণীর অন্তর্গত । ( ১ ) সন্ম বিচার করিয়া দেখিতে গেলে ধাতু, অব্যয় ও সর্বনামের মধ্যে অধিকাংশই রূঢ় ; কিন্তু বিশেষণ ও সংজ্ঞার মধ্যে অনেকানেক শব্দের ব্যুৎপত্তি নিতান্ত নিগ,চু হইয় পড়াতে, রূঢ় বলিয়া পরিগণিত हम्न !