পাতা:নববোধ ব্যাকরণ.pdf/২১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৯৮ ] ৩৬৪ । ব্যাকরণ, অভিধান, আগুবাক্য, ব্যব হার, সিন্ধপদসান্নিধ্য এবং সঙ্কেত এই ছয় উপায় দ্বারা শবদার্থের জ্ঞান হয় । ব্যাকরণ ও অভিধান পাঠে শব্দার্থ জ্ঞান সকলের ঘটিয়া উঠে না । কিন্তু শেষোক্ত চারি প্রকার উপায় দ্বারা মাতৃক্রোড় হইতে জীর্ণবস্থা পৰ্য্যন্ত সকলেরই সতত অজ্ঞাত শব্দের অর্থ শিক্ষা হইয় থাকে । আগুবাক্য-বিশ্বস্ত ব্যক্তির উপদেশ । এই উপায় দ্বার বালক জননী মুখ হইতে ভাষা অভ্যাস করিতেছে, এবং সকলে নিজ নিজ প্রভু, গুৰু, পরিবারবর্গ, বন্ধুবান্ধব, প্রতিবেশী প্রভূতির নিকট হইতে সতত শত শত শব্দের অর্থ শিক্ষা করিতেছে। এই উপায় দ্বার। দ্বিসহস্ৰ বৎসরের ও পূৰ্ব্বে গ্রীষদেশে মহাকাব্য ইলিয়াড় কতিপয় শতাব্দী কেবল লোক পরম্পরায় অভ্যস্ত হইত এবং ভারতবর্ষে বহুবায়ত শ্রীতি সকল শিষ্য পরম্পরায় ও পুৰুষ-পরম্পরায় অধীত হইত। ব্যবহার—অস্বয়-ব্যতিরেক, অথর্ণৎ অভাব ও সপ্তাবের জুঠাম | এক স্থানে একটি গৰু বাধা রহিয়াছে ও একটি ঘোড় চরিতেছে। প্রভু সন্মুখস্থিত বালক ভূত্যকে বলিলেন; ধেনুটি ছাড়িয়া দেও এবং অশ্বটিকে বাধ। বালক ভূত্য এই অন্বয় ব্যতিরেক হইতে ধেনু শব্দে গৰু ও অশ্ব শব্দে ঘোড় বলিয়া অনায়াসে বুঝিতে পারিল । * সিদ্ধ-পদ-সান্নিধ্য—জ্ঞতাৰ্থ শব্দের সন্নিকর্ষ।