পাতা:নববোধ ব্যাকরণ.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ &ν ১২৯ ৷ বিশেষণ পদ বিশেষ্যরূপে প্রযুক্ত হইলে, উহার উত্তর বিভক্তি হইতে পারে। যথা, মানীদের মান ; গুণবতীকে সমাদর কর, কৰ্ত্তব্যের মধ্যে অধ্যয়ন, ভ্রান্তকে বুৰাও । সস্থ্যাবাচক শব্দ প্রকৃত বিশেষণের অন্তর্গত। সস্থ্যাবাচক দুই প্রকার, শুদ্ধ সস্থ্যাবাচক ও পূরণবাচক। এক দুই তিন প্রভৃতি শুদ্ধসস্থ্যাবাচক। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ইত্যাদি পূরণবাচক । গোট, খান, গাছ, খান, গুলা, গুলি, fট, ট, এবং জন ; এই কয়েক শব্দ সঙ্খ্যাবাচক শব্দের প্রতিপোষকরূপে ব্যবহৃত হয়। যথা, গোটাদশ লেবু, পাচ খান বছি, ছয় গাছ লাঠি, আট থান মোহর, কতকগুল দোয়াত, কতকগুলি লোক, ছুইজন বাজিকর, দশটি টাকা, সাতটা ময়ূর। অনিশ্চিত সঙ্খ্যা বুঝাইতে হইলে যুগপৎ একাধিক সস্থ্যাবাচক শব্দ ব্যবহৃত হইয়া থাকে (১) যথা, দুই তিন দিন সেখানে গিয়াছিলাম ; পাচ ছয় টাকা খরচ হুইয়াছে; নশ কুড়ি জন গোর। দেখিলাম, শত শত লোক জমায়েত ছইল । হাজার হাজার সৈনিক চলিল ৷ লক্ষ লক্ষ প্রাণী ক্ষয় প্রাপ্ত ছইল । সস্থ্যাবাচক শব্দ আরও দুই প্রকার, ভগ্নাংশবোধক ও সমষ্টিবোধক । যথা, ভগ্নাংশ-শিকি, চোখ বা চতুর্থাংশ, অৰ্দ্ধেক অাধ বা দ্বিতীয়াংশ, তেহই বা তৃতীয়াংশ ; সওয়া, দেড় ব৷ $ ( ১ ) ছুই, পাচ, ও দশ এই তিন শব্দেও কোন কোন স্থলে, অনিশ্চিত বুঝাইয় থাকে। যথা, ‘দুজন লোককে যে ভুষিতে ন পারিল, পাঁচ জন ভদ্রলোক যার নিন্দ করিলেন, দশ জন অতিথি কুটু স্ব যার বাটীতে পদাপর্ণ না করিল, তার জন্ম বৃথা ।