পাতা:নবরাহা - বিহারীলাল চট্টোপাধ্যায়.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবরাহ טא מי খানায় মন উঠল না বলে সাহেবদের সঙ্গে মিশে গেল। একটা হেঁসেলের সাহেব তার সঙ্গে রগড় করে তার হাত ধ’রে যে গানটী গেয়েছিল আমাদের তিনি সে গানটী অামায় শিখিয়ে দিয়েছেন । প্র-স্ত্রীলোক। কি গান ভাই কি গান ? বলন শুনি । তৃ-স্ত্রীলোক। দূর পোড়ারমুখী ! এত লোকের সামনে মেয়ে মানুষ গান গাইব কেমন করে ? দ্বি-স্ত্রীলোক । মেলার ঠেলায় নাটঘাট হয়ে যখন ভিড়ে নাইতে চলিছিস তখন তার একটা রগড়ের গান গাইতে পারিসনি ? ডুবে জল খেলে শিবের বাপেও টের পায় না, গোলে হরিবোল দিলে কে শুনতে পায় ? অার এত ভিড়ের মধ্যে তোমায় কেইবা চিনবে যে তুমি অমুক লোকের মেয়ে অমুক লোকের বউ এখানে এসে গান গাছ ? যতক্ষণ আমরা অনদরে বন্ধ থাকি ততক্ষণই আমাদের অা বরু একবার বাইরে বেরুলে অ (মাদের আর পায় কে ? ষাড়িনীর মতন ধা ওয়া করে ধাক্কা দিয়ে পুরুষ গুলোকে হুড়িয়ে ঠেলে দিয়ে বেড়িয়ে বেড়াই। কি গান শিখিছিস ফা কায় গেয়ে ফেলে আপনার পেট থালাস কর অামাদের ও হাসিয়ে মেরে ফেল আর ঐ জামাজোড়-পরা ভেকে। পুরুষগুলোর মুণ্ডু ঘুরিয়ে দে । তৃ-স্ত্রীলোক। তোরা ভাই অ মোয় পাগল পেয়েছিস নিতান্ত ছাড়বিনি ? তবে শোন । সেই হেঁসেল ওলা সাহেব সেই টিকি ওলা অধ্যাপক টাকে চোঙ্গার বা দর সাজিয়ে তাকে টিকি ধরে নাচাতে নাচাতে এই গান গেয়েছিল—