পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృ9ృty নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী । , কৃষ্ণের শোণিতে কেন ভাসালে না এ ধরায় ? একই শ্মশান মাত্ৰ করি নাথ ! প্রজ্বলিত, কৃষ্ণের হৃদয় কেন করিলে না সমৰ্পিত ? এই অষ্টদশ দিন হইয়াছে প্রবাহিত বে শোণি গু-পরাবার, কৃষ্ণের তপ্তশোণিত প্রতি বিন্দু সে সিন্ধুর ; হা নাথ ! প্রতি শ্মশান করিয়াছে ভস্ম আজি জীবন্ত কৃষ্ণের প্রাণ । তি রমণী কণ্ঠ, অনাথার, হাহাকার, গান্ধারীর শোকোচ্ছ্বাস, শোক-ছবি উদ্ভরার, অৰ্জ্জুনের উন্মত্ততা, সে বৈরাগ্য সুভদ্রার, করিয়াছে কৃষ্ণ-প্রাণে শেলাঘাত অনিবার । রাজস্থয়ে ধিনিৰ্ম্মিত ধৰ্ম্মরাজ্য বাতাহত পড়িল ভাঙ্গিয়া যবে বালির স্বজন মত, বুঝিলাম তব ইচ্ছ, বিনা এই রক্ত দান, এ অগ্নি পরীক্ষ। বিনা, হুইবে না নিরমণ ধৰ্ম্মরাজ্য ধরাতলে হইবে না কদাচিত থও এ ভারতে মহাভারতরাজ্য স্থাপিত । দিলাম অনলে ঝ পি, হৃদয় বিদীর্ণ করি চলিলাম রক্ক-ধারা অষ্টাদশ দিন ধরি, তথাপিও প্রাণাধিক কুমারের এ শ্মশান জ্বালালে ক্লঞ্চের প্রণে হয়ে নাথ ! অনিৰ্ব্বাণ । নিষ্পাপ মানব-পুত্ৰ নাহি দিলে বলিদান আত্মপ্রাণ, হবে না কি মানবের পরিত্রাণ ? নাহি দুঃখ, তব প্রাণ মানবের মহাপ্রাণ, তুমি সহিতেছ যদি, কৃষ্ণের হৃদয়ে স্থান পাইবে না শোক ; কর পূর্ণ তব মনস্কাম —